আজ বৃহস্পতিবার ১৭ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৪ঠা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি। পরীক্ষায় ভালো করার উপায় -একজন ছাত্রকে ভাল রেজাল্ট করতে হলে প্রথমত তাকে অধিক পরিশ্রমী হতে হবে। পরিক্ষা নিয়ে কিছুটা উদ্বেগ বা চিন্তা থাকাই স্বাভাবিক। এই চিন্তা বা উদ্বেগই পরিক্ষায় ভাল করার মূল চালিকাশক্তি। পরিক্ষা নিয়ে যার কো ভাবনাই নেই তার প্রস্তুতিতে প্রচুর ঘাটতি থেকে যায়। লেখঅপড়া থাকলে পরিক্ষা থাকে আর এ থেকে বাঁচার আর কোন উপায় নেই। আর তাই পরিক্ষয় ভাল ফলাফল সবারই কাম্য। তবে শুধু লেখঅপড়া করে পরিক্ষায় কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন সম্ভব নয়।
তপস্যাঃ একমাত্র তপস্যা-ই পারে জীবনে কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছানোর পথ এনে দিতে পারে।
পরিশ্রমঃ প্রথমেই বলা হয়েছে পরিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি। একমাত্র পরিশ্রমের মাধ্যমে জীবনে উন্নতি করা সম্ভব।
অধ্যবসায়ঃপ্রত্যেকটা ছাত্র-ছাত্রিকে অধ্যবসায়ী হতে হবে। পৃথিবীতে যত মনীষী আছে তারা কঠোর অধ্যবসায়ের মাধ্যমে আজও স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে আছে।
পড়ায় মনোযোগ দেয়াঃ ছাত্রছাত্রিকে অবশ্যই পড়াশোনায় মনোযোগী হতে হবে। যতটুকু পড়বে ততটুকুই মন দিয়ে পড়বে তা হলে দেখবে পড়া খুব তাড়াতাড়ি হয়ে গেছে। সব চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। পড়ার সময় শুধু পড়ার কথা মনে করতে হবে।
পরিক্ষার পূর্ব প্রস্তুতিঃ অনেক ছাত্র আছে পরিক্ষার সময় শুধূ সারা দিন-রাত পড়ে। পরিক্ষার প্রথমদিকে কোন পড়াশুনা করে না। এতে ছাত্রছাত্রির মাথায় অনেক চাপ পড়ে। অনেক সময় দেখা যায় পরিক্ষার সময় তার পারা জিনিসটাও ভুলে যায়। তাই অন্তত 15-30 দিন আগে পরিক্ষার সাজেসন্স কম্প্লিট করতে হবে। আর পরিক্ষার সময় শুধু রিভিশন দিতে হবে। তাহলে ছাত্ররা ভাল রেজাল্ট করতে পারবে।
সময়ের সদ্ব্যাবহারঃ পরীক্ষায় ভালো করার উপায় খুজতে হলে ছাত্রদেরকে অবশ্যিই মনে রাখতে হবে সময় ও স্রোত কারও জন্য অপেক্ষা করে না। তাই সময়কে সঠিকভাবে সদ্ব্যাবহার করতে হবে। সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে। আজকের পড়া কাল রেখে দিলে চলবে না। অনেক ছাত্র আছে যে আজ পড়তে ভাল লাগছেনা তাই কালকের জন্য পড়া রেখে দেয়।
এরকম করতে করতে অনেকে পড়া শেষ করতে পারে না। তাই ছাত্রদেরকে বুঝেতে হবে আজ যে সময় গত হয়ে যায়, আর কখনও-ই সে সময় ফিরে আসেনা। সময় বয়েই যায়। তাকে শক্ত করে ধরে রেখে তার তদ্ব্যাবহার করাই একজন ভাল ছাত্রের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হওয়া দরকার।
বইয়ের বিশেষ বিশেষ অংশে রঙিন কোড ব্যবহার করাঃ বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ থাকে যেগুলো অনেক সময় খুঁজে বের করতে গেলে সময় নষ্ট হয়। এই কারণে ঐ সকল অংশগুলোকে রঙিন কালি দিয়ে চিহ্ণিত করে রাখতে হয় যাতে করে পরবর্তী সময়ে খুব সহজে সেটা সবার সামনে চলে আসে। সময়ের সাথে সাথে পড়াটাও সহজ হবে।
একই জিনিস বার বার পড়লে সেটা মস্তিস্কে অনেক দিন স্থায়ী হয়। তবে যা-ই পড়া হোকনা কেন সেটা নিজে থেকে বুঝে পড়তে হবে। না বুঝে পড়া মুখস্ত করলে সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়না। তবে মনে রাখা দরকার যা পড়া হবে সেটা সাথে সাথে থাতা-কলম করতে হবে। মানে খাতায় লিখতে হবে। লেখার কোন বিকল্প নেই। আজ যে পড়া মুখস্ত করা হবে কাল সেটা দিনের শুরুতে আর একবার ঝালাই/পূণ:পড়া করে নিতে হবে এবং সপ্তাহের সকল পড়া যে কোন একদিন যেমন শুক্রবার পুরো পড়াতেই চোখ বুলিয়ে নিতে হবে।
ছাত্রদের পাঠের উপর নিজের কিছু নোট তৈরী করতে হবে যেগুলো পরিক্ষার পূর্ব মূহুর্তে তাদের সাহায্য করবে। পরীক্ষায় ভালো করার উপায় যখন হাতে সময় খুব কম থাকবে তখন ঐ নোটগুলো অনুসরণ করলে পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করা সম্ভব।
শিক্ষক একজন ছাত্রকে সবসময়ই সৎ উপদেশ দেবে। তাঁর সাথে পড়াশোনার ব্যাপারে কিছু নির্দেশনা নিতে হবে যা ছাত্রকে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে সাহায্য করবে।
সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। তাই সবসময় ভাল ছাত্রছাত্রিদের সাথে মেশার চেষ্টা করতে হবে। ভালোর সাথে থাকতে থাকতে ছাত্রছাত্রিদের ভেতরে একটা পড়ার প্রবণতা তৈরী হবে যা ছাত্রকে তার লক্ষ্যে পৌঁছতে সাহায্য করবে। মনে রাখতে হবে ভালোর সাথে থাকলে খারাপও ভালো হতে বাধ্য।
আমরা অনেকেই জানি না যে উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষায় কোন বিষয়ে কত পেতে হবে এটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নে তা ব্যাখ্যা করা হলোঃ—
বাংলা প্রথম পত্র- সৃজনশীল অংশে 23 নম্বর এবং বহুনির্বাচনী অংশে 10 নম্বর অর্থাৎ মোট 33 নম্বর পেতে হবে CQ এবং MCQ অংশে আলাদা আলাদাভাবে পাস করতে হবে।
বাংলা দ্বিতীয় পত্র- বাংলা দ্বিতীয় পত্রে 33 নম্বর পেলেই পাস। দুই পত্র অর্থাৎ বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র মিলে 66 পেলেই পাস নয়, পাস করতে হবে আলাদা আলাদাভাবে। ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে 66 পেলেই পাস। বিষয়টা আরও একটু সহজ করলে প্রথম পত্রে যদি 10 নম্বর এবং অন্য পত্রে যদি 56 নম্বর পাওয়া হয় তবে দুটো মিলে 66 পেলেই ইংরেজিতে পাস করা যায়।
ICT বিষয়ঃ সৃজনশীল অংশে 17 নম্বর এবং বহুনির্বাচনী অংশে 8 নম্বর পেলেই পাস। (CQ এবং MCQ অংশে আলাদা আলাদাভাবে পাস করতে হবে)।
সৃজনশীল অংশঃ প্রথম পত্রে 20 ও দ্বিতীয় পত্রে 13 দুটো মিলে 33 নম্বর পেলেই পাস।
বহুনির্বাচনী অংশঃ প্রথম পত্রে 02 ও দ্বিতীয় পত্রে 14 দুটো মিলে 16 নম্বর পেলেই পাস।
মানবিক বিভাগের বিষয়সমূহঃ
সৃজনশীল অংশঃ প্রথম পত্রে 10 ও দ্বিতীয় পত্রে 36 দুটো মিলে 46 নম্বর পেলেই পাস।
বহুনির্বাচনী অংশঃ প্রথম পত্রে 05 ও দ্বিতীয় পত্রে 15 দুটো মিলে 20 নম্বর পেলেই পাস।
সৃজনশীল অংশঃ প্রথম পত্রে 10 ও দ্বিতীয় পত্রে 36 দুটো মিলে 46 নম্বর পেলেই পাস।
ছাত্রজীবনে পরিক্ষা শব্দটি ছাত্রছাত্রিদের কাছে অধিক পরিচিত একটি শব্দ। সেই শিশু শ্রেণিতে ভর্তি থেকে প্রত্যেক ছাত্রছাত্রিদের কাছে পরিক্ষা নামক চক্রের সাথে পরিচিত হবার পর থেকে চক্রটি অবিরাম চলতেই থাকে। সে যত ভাল ছাত্রই হোক না কেন পরিক্ষার খাতায় যদি সে ভাল লিখতে না পারে এবং তা থেকে তার ভাল ফলাফল না হয় তাহলে যেন সবই বৃথা হয়ে যায়।
সামনে এইচ, এস, সি পরিক্ষা। ভালো নম্বর পাওয়া আমাদের দেশের শিক্ষার্থীর কাছে চরম আরাদ্ধ। এর উপর নির্ভর করে তার পুরো ভবিষ্যত। এ ক্ষেত্রে কোনো বিষয়ের উপর ভালো কন্সেপ্ট থাকার সাথে সাথে খাতায় কিভাবে উত্তর উপস্থাপন করলে নম্বর ভালো আসে তা জানা জরুরী। এবিষয়ে কিছু টিপ্স—
হাতের লেখা ভালো হবে এমন কোনো কথা নেই। হাতের লেখা পরিস্কার হতে হবে। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, “ আগে দর্শণদারী, পরে গুণ বিচারী” অর্থাৎ প্রথমে দেখায় ভালো লাগতে হবে পরে গুণের বিচার করা হবে। আর তাই পরিক্ষার খাতায় লেখা ভালো হলে পরিক্ষকদের একটা আলাদা আকর্ষণ তৈরি হয়।সর্বোপরি পরিক্ষার্থীদের সম্পর্কে পরিক্ষকের কাছে একটা ইতিবাচক ধারণা তৈরি করাও একটা ভালো ছাত্রের গুণ। এতে সে গুণের প্রভাব তার খাতায় পড়ে এবং অধিক নম্বর পেতে সাহায্য করে।
উত্তরপত্রে লেখা উপস্থাপনের ক্ষেত্রে আরও একটি দিক খেয়াল রেখে উত্তর করা যেতে পারে তা হলো প্যারা করে লেখা। প্যারা করে লিখলে একই সাথে শিক্ষার্থীর উপস্থাপিত তথ্য ভালোভাবে শিক্ষকের চোখে পড়ে এবং তার উপস্থাপিত তথ্য সুস্পষ্টভাবে দৃষ্টিগোচর হয়।
অনেক পরিক্ষার্থী পরিক্ষার খাতায় নানা রঙের কলম ও কালি ব্যবহার করে থাকে। এতে যেমন সময় নষ্ট হয় তেমন খাতা উপস্থাপনের সৌন্দর্য্ও নষ্ট হয়। তাই ছাত্রদের এরকমটি করা উচিত নয়। মার্জিন করার ক্ষেত্রে একটি স্কেল ও পেন্সিল ব্যবহার করা ভালো। বিশেষ পয়েন্ট চিহ্ণিত করার জন্য শুধু পেন্সিল বা লেখার কলম ব্যবহার করাই ভালো। পরিক্ষার শুরুতে খাতা পাওয়ার পরই উপরে ও বামে এক ইঞ্চি বাদ দিয়ে মার্জিনগুলো টেনে রাখা ভালো। লেথার সাথে সাথে নিজের রুচিমত ডানে একটু জায়গা রেখে লিখলেই যথেষ্ট।
সময় একটু বেশি লাগলেও পরিক্ষার সময় ধৈর্য্ সহকারে প্রশ্নের শুরু থেকে শেষ পর্য্ ন্ত পড়তে হবে। অনেক শিক্ষার্থীর অভ্যাস পুরো প্রশ্নপত্র না পড়ে উত্তর লেখা শুরু করে। প্রশ্নে যা চাওয়া হয়েছে উত্তর উপস্থাপনের সময় প্রশ্নের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রাসঙ্গিক উত্তর লেখার চেষ্টা করতে হবে। অযথাই এক কথা বারবার পূণরাবৃত্তি করা বৃথা।
উত্তর লেখার সময় মনে রাখতে হবে কোন প্রশ্নে কতটুকু নম্বর রয়েছে। প্রতিটা নম্বরের উত্তর-ই করতে হবে। লেখার শুরুতে 10 নম্বরের একটা প্রশ্নে যদি 30 মিনিট লেগে যায় তবে লেখার শেষে সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়া সম্ভব হবে না। নম্বরগুলো শিক্ষার্থীর হাত থেকে বেরিয়ে যাবে এবং পুরো নম্বর Carry করা হবেনা।
উত্তর লেখার সময় অবশ্যই প্রতিটা প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। নম্বর ছেড়ে এলে চলবে না। মাইক্রোসফ্ট এর প্রতিষ্ঠাতা বিল গেমস্ বলেছেন, “ একবার পরিক্ষায় কয়েকটা বিষয়ে ফেল করেছিলাম কিন্তু আমার বন্ধু সব বিষয়ে পাস করে। এখন সে মাইক্রোসফ্টের একজন ইঞ্জিনিয়ার আর আমি মাইক্রোসফ্টের প্রতিষ্ঠাতা”। তাই শুধু পাস করতে হবে তাই পড়াশুনা নয়, ভালো ফলাফল নিশ্চিত করতে পড়াশোনা প্রতিটি শিক্ষার্থীর সংকল্প হওয়া উচিত।
উত্তর লেখার শুরুতে যে প্রশ্নের উত্তর সবচেয়ে ভালো জানা থাকবে সে প্রশ্ন থেকেই উত্তর লেখা শুরু করতে হবে। না জানা প্রশ্নের উত্তর সবার শেষে করার চেষ্টা করতে হবে।
HSC রেজাল্টের উপর ভিত্তি করবে শিক্ষার্থীর আগামীর ভবিষ্যত। বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা স্বভাবতই চায় মেডিকেল পড়ার জন্য। HSC রেজাল্টের উপরই তার পুরোটা নির্ভর করে।তবে ইংরেজি——। ইংরেজি-ই একটা বিষয়। যার উপর বেসিক জ্ঞান না থাকলে শিক্ষার্থী কোন কিছুতেই তেমন উন্নতি করতে পারেনা। মুখস্ত পড়া সকল বিষয়ের উপর প্রযোজ্য কিন্তু ইংরেজির বেলায় পুরোটাই ভিন্ন।
না বুঝে মুখস্ত করলে সাময়িক পড়া মনে থাকে বা পরিক্ষায় নম্বর পাওয়া যায় তা বলে কোন ভাল/বড় প্রতিষ্ঠানে ভর্তি বা পড়ার জন্য যথেষ্ট নয়। যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিক্ষাতো সবাই দেয় কিন্তু পড়ার জন্য সুযোগ পায় কয়জন। বড়বড় Golden A+ হাতে করে বেরিয়ে আসতে হয়। অনেকটা এ রকম- দুষ্টু গরুর চেয়ে শূণ্য গোয়াল অনেক ভাল।তাই ক্যারিয়ার গঠনে যেমন HSC রেজাল্টের ভূমিকা রয়েছে তেমনি HSC রেজাল্টে-ও ইংরেজি বিষয়ের গুরুত্ব অপরিসীম।
পরিশেষে বলি লেখাতো অনেক হলো কিন্তু শেষ পর্য্ন্ত লেখা পড়বে কজন। এখন মোবাইলের যুগ। ছোট/বড়, শিক্ষার্থী/পরিক্ষার্থী ছেলে/বুড়ো সকলের হাতেই মোবাইল এখন নিত্য সঙ্গী। ইংরেজি-র বেসিক জানার চেয়ে মোবাইলের সম্পর্কে ধারণা অর্জ্ন প্রতিযোগীতার শীর্ষে পৌঁছেছে। শিক্ষার্থীদের হাতে মোবাইল শিক্ষা জগতটাকে ধ্বংসই শুধু নয়, সমাজটাকে কলুষিত করে দিচ্ছে।ক্যারিয়ার, ভালো ফলাফল সবকিছুর আগে শিক্ষার্থীদের হাতে মোবাইল –এটা বন্ধ করা দরকার। তবেই দেশ আবার শিক্ষা জগতে সফল হতে পারবে।
প্রিয়াংকা কর্মকার,
অর্নাস দ্বিতীয় বর্ষ, (ম্যানেজম্যান্ট )
সরকারি বরিশাল কলেজ, বরিশাল।
চাকরির ভাইভা পরিক্ষায় এই প্রশ্নটি করা হয়ে থাকে। ১। থানা ও... আরো পড়ুন
পুলিশ মানেই রুক্ষ মুখ, নীল পোশাক আর লাঠিপেটা করার যন্ত্র নয়,... আরো পড়ুন
করোনাকে নিয়ে সারা সবার নজর এখন চীনের দিকে। করোনাভাইরাস প্রকৃত সৃষ্ট... আরো পড়ুন
করোনাভাইরাস সংক্রমণে মারা গেলেন স্প্যানিশ রাজকন্যা মারিয়া তেরেসা অব বরবন পারমা।... আরো পড়ুন
চীনের বৃহত্তম করোনা ভাইরাস বিশেষজ্ঞ দাবি করেছেন যে আগামী চার সপ্তাহের... আরো পড়ুন