৫০০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবী- বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির

নজরুল ইসলাম রনিঃ দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে পর্যায়ক্রমে এমপিওভুক্ত করতে হবে। অর্থ সংকুলান সাপেক্ষে আসন্ন বাজেটে (২০২০-২০২১ অর্থবছর) কমপক্ষে আরো ৫ হাজার নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করতে হবে। জেলা ও উপজেলা শহর এবং গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ভিন্ন শর্ত দিয়ে এবং শর্ত শিথিল করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করতে হবে। আর যাচাই-বাছাইয়ে বাদপড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ চলতি অর্থ বছরের বরাদ্দের অনুকূলে আরও নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবি।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরামের মুখপাত্র জনাব মোঃ নজরুল ইসলাম রনি এবং বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মহাসচিবমো. মেজবাহুল ইসলাম প্রিন্স আজ বৃহস্পতিবার (৭ মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদেরকে অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ দেয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। একই সাথে বিশেষ কারণে বাদ পড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ শর্ত শিথিল করে এমপিও দেওয়ার দাবি জানান।

প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে শিক্ষক নেতারা জেলা শহর, উপজেলা শহর ও গ্রাম এলাকার জন্য ভিন্ন শর্ত দিয়ে এবং শর্ত শিথিল করে নন-এমপিও আরো ৫ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আসন্ন বাজেটেই এমপিওভুক্ত করার জোরালো দাবি জানান। চলতি বাজেটের বরাদ্দকৃত অর্থ ফেরত না দিয়ে বেঁচে যাওয়া অর্থের বিপরীতে আরো যতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা যায় তা করার জোর দাবি জানানো হচ্ছে।

শিক্ষক নেতৃবৃন্দ প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলেন- বর্তমানে দেশে প্রায় দশ হাজার নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় এক লক্ষ শিক্ষক-কর্মচারীগণ দীর্ঘদিন বিনা বেতনে চাকরি করে আসছেন। দীর্ঘদিন থেকে নন-এমপিও শিক্ষকরা আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছিল। সর্বশেষ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্ব মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনা গত বছর যাচাই বাছাই করে ২৭৩০টি প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২৭৩০টি এবং পরে এমপিও দেওয়া আরও ৭টিসহ মোট ২৭৩৭টি শিক্ষাপ্রদিষ্ঠান এমপিওভুক্তির তালিকা প্রকাশ করে। এসব প্রতিষ্ঠানের কিছু যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে শর্ত শিথিল করে এমপিওভুক্তি দাবি জানাই। এ ছাড়া অনলাইনে সব শিক্ষক-কর্মচারীগণ আবেদন করতে পারেনি। অনেক ক্ষেত্রে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের অবেহেলা দেখা গেছে। এ নিয়ে নন-এমপিও শিক্ষকদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। আমরা আশা করবো এসব শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় এমপিওভুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

বর্তমানে, করোনার প্রভাবে হাজার হাজার শিক্ষক-কর্মচারীগণ চরম আর্থিক কষ্টে দিন যাপন করছেন। শর্ত শিথিল করে হলেও অবিলম্বে আসন্ন বাজেটে কমপক্ষে আরো ৫ হাজার নন এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার জন্য অর্থ বরাদ্দ রাখার দাবি জানাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি। এতে শিক্ষক অসন্তোষ কমে আসবে এবং শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন ঘটবে বলে প্রত্যাশা করছি।

একই সাথে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বাজেটে এমপিওভুক্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এক সাথে জাতীয়করণ ঘোষণার প্রয়োজনীয় বাজেট বরাদ্দ রাখতে জোরালো দাবি জানান শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।

বার্তা প্রেরক

মোঃ নজরুল ইসলাম রনি
সভাপতি
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ও মুখপাত্র
এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ লিয়াজোঁ ফোরাম।
মোবাইল-01712873169