আজ মঙ্গলবার ৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৩৬তম বিসিএসে চূড়ান্ত সুপারিশকৃতদের তালিকায় শিক্ষা ক্যাডারে তৃতীয় স্থান দখল করেন মো: মিজানুর রহমান।
তিনি ২০০২ সালে SSC-তে জিপিএ ২.৭৫ পাওয়ায় শিক্ষা জীবন নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েন এবং এ কারণে কলেজে ভর্তি হওয়া থেকে ১ম বছর বিরত থাকেন। তিনি আবার পরের বছরে কলেজে ভর্তি হন।
ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে বাদ পড়েন। ঢাকাতে পড়ার ইচ্ছা থেকে ঢাকা কলেজে ভর্তি হন। পরবর্তীতে তিনি ২০১২ সালে BCS প্রস্তুতি শুরু করেন। ৩৪তম বিসিএসে তিনি ভাইভায় ফেল করেন, ৩৫তম বিসিএসে লিখিত-তে ফেল করেন এবং সবশেষে ৩৬তমে শিক্ষা ক্যাডার লাভ করেন।
শিক্ষাজীবন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে মিজানুর রহমান বলেন, “আমি আথাকরা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০২ সালে SSC-তে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ২.৭৫ পেয়ে পাশ করি। ফলাফল আশানুরূপ না হওয়ায় খুব হতাশ হয়ে পড়ি এবং ওই বছর আর কলেজে ভর্তি হওয়া থেকে বিরত থাকি।
পরবর্তীতে অনেক চিন্তা ভাবনা করে ২০০৩ সালে রামগঞ্জ সরকারি কলেজে মানবিক বিভাগে ভর্তি হয়ে যাই। এরপর থেকে শুরু করলাম নতুন উদ্যমে পড়াশুনা।
২০০৫ সালে মানবিক বিভাগ থেকে GPA ৪.২০ পেয়ে উপজেলায় প্রথম হই। তারপর ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় অপেক্ষমান থেকে বাদ পড়ি।
পরিবারের সবার ইচ্ছে ছিল ঢাকাতেই পড়তে হবে তাই ঢাকার বাইরের কোন বিশ্ব’বিদ্যালয়ে পরীক্ষা না দিয়ে ঢাকা কলেজে ভূগোলে ভর্তি হই।
ভূগোল থেকে অনার্স পরীক্ষায় প্রথম শ্রেনিতে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করি। এবং মাস্টার্স পরীক্ষায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পাশ করি।
★আপনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জিপিএ ২.৭৫ নিয়ে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে সুপারিশকৃত হয়েছেন। আপনার কি কখনও মনে হয়নি এত কম GPA নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে BCS ক্যাডার হওয়া সম্ভব নয়? এবং আপনি BCS প্রস্তুতি কিভাবে শুরু করেছিলেন?
মো: মিজানুর রহমান: আমি অনার্সের পড়া শাহবাগ পাবলিক লাইব্রেরীতে পড়তাম। তখন দেখতাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ভাই বিসিএসের জন্য পড়ছে এবং ক্যাডারও হচ্ছে।
মনে মনে ভাবতাম তাহলে আমি কি পারবো না! একে ঢাকা কলেজে ভূগোলে পড়েছি তার উপর আবার SSC”র জিপিএ কম তাই মনে মনে ভাবতাম চেষ্টা করে ভাইভা পর্যন্ত গেলেও এসব কারণে বাদ পড়ে যাব।
৩০তম বিসিএসে এসে দেখি আমার ভূগোলের এক ভাই পুলিশ ক্যাডার পেয়ে গেল। এরপরই ভাবলাম চেষ্টা করলে আমার পক্ষেও সম্ভব।
এরপরই শুরু করলাম পাবলিক লাইব্রেরীতে আমার বিসিএস প্রস্তুতি। সেই ২০১২ সাল থেকে শুরু হল প্রস্তুতি। ৩৪ BCS ভাইভায় ফেল করলাম। ৩৫ লিখিততে ফেল করলাম, ৩৬তম এ এসে ক্যাডার হলাম আলহামদুলিল্লাহ। ৩৭তমতেও জেনারেল ক্যাডারে লিখিত দিলাম।
★শিক্ষা জীবনের শুরু থেকে ক্যাডারে সুপারিশকৃত হওয়া, এ দীর্ঘ পথে কী ধরণের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হয়েছেণ?
মো: মিজানুর রহমান: আমি শুধুই বিসিএসের জন্য পড়েছি। এজন্য বন্ধুদের বিভিন্ন জায়গায় চাকরি হয়ে গেলেও আমাকে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করতে হয়েছে।
এক পর্যায়ে বয়স ৩০ও পার হয়ে যায়। পড়ে গেলাম মহা টেনশনে। নানা প্রকার পারিবারিক, মানসিক চাপ সহ্য করতে হয়েছে। অনেকে অনেক কটু কথাও বলেছে। আমি আল্লাহর উপর ভরসা করে নিরবে সব সহ্য করেছি। এখন তারাই আবার বাহবা দিচ্ছে।
নিয়োগ পরীক্ষার ফ্রি সাজেশন পেতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।
প্রিয় বিসিএস পরীক্ষার্থী আজ আমি তোমাদের সাথে বিসিএস সিলেবাস এর মধ্যে... আরো পড়ুন
পরীক্ষার সর্বশেষ প্রস্তুতি নিয়ে লিখেছেন ৩৬তম বিসিএসের সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে কর্মরত... আরো পড়ুন
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) বিসিএসের লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস প্রকাশ করেছে। … এর মধ্যে বাংলা... আরো পড়ুন
ছেলেটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাশ করেছে। পাশ করেই বিসিএস পরীক্ষা... আরো পড়ুন
স্বাগতা ভট্টাচার্য্য; ৩৪তম বিসিএস উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশ ক্যাডারে আছেন। বাবা সব্যসাচী ভট্টাচার্য্য,... আরো পড়ুন
৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন ওয়ালিদ বিন কাশেম ৩০তম... আরো পড়ুন