আজ বুধবার ১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মো. ওমর আলী রাসেল, ৩৬তম বিসিএসের মাধ্যমে পুলিশ ক্যাডারে কর্মরত আছেন। তার বাবা মো. শাহজাহান আলী অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক এবং মা আনোয়ারা খাতুন গৃহিণী
রাসেলের জন্ম সিরাজ’গঞ্জের উল্লাপাড়ায়। তিনি বাগমারা বিএস উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ থেকে SSC, ঢাকার বিএএফ শাহীন কলেজ কুর্মিটোলা থেকে HSC, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
সম্প্রতি তার বিসিএস জয়, ভবিষ্যৎ স্বপ্ন ও সফলতার গল্প শুনিয়েছেন জাগো নিউজকে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মো. সাঈদ মাহাদী সেকেন্দার—
★ছোটবেলা কেমন কেটেছে?
মো. ওমর আলী রাসেল: একেবারে গ্রাম বলতে যা বোঝায়, এরকম একটি গ্রামেই আমার বেড়ে ওঠা। নিতান্তই ভাবনা-চিন্তাহীন ভাবে সারাদিন দৌড়-ঝাপ, খেলাধুলা, ঘোরা’ঘুরি করেই কাটিয়ে দিতাম।
তবে বন্ধুদের সঙ্গে মাছ ধরাও ছিল অন্যতম একটি কাজ। মাছ ধরাটা কেন যেন ওই সময়টাতে নেশার মত কাজ করত।
অনেক সময় বাড়ির কৃষি কাজেও সহায়তা করেছি। এভাবে কখন ছোটবেলাটা হারিয়ে ফেলেছি, এখন ভাবলে স্বপ্নের মতই মনে হয় ওই দিনগুলো।
★পড়াশোনায় কোন প্রতিবন্ধকতা ছিল কি?
মো. ওমর আলী রাসেল: পড়াশোনায় তেমন কোন প্রতিবন্ধকতা ছিল না। আমার স্কুল শিক্ষক বাবা ছোটবেলা থেকেই উৎসাহ জোগাতেন।
নানা রকম উপদেশ-পরামর্শ দিতেন। স্বল্প বেতনে চাকরি করলেও সন্তানদের পড়ালেখার ব্যাপারে তিনি খুবই সচেষ্ট ছিলেন।
★বিসিএসের স্বপ্ন দেখছিলেন কখন থেকে?
মো. ওমর আলী রাসেল: সময়ের সাথে সাথে আমার স্বপ্ন সব সময় পরিবর্তিত হয়েছে। ছোটবেলায় আকাশে বিমান উড়ে যাওয়া দেখে ভাবতাম বিমানের পাইলট হবো।
আবার আত্মীয়-স্বজনের আগ্রহ দেখে মনে মনে ঠিক করলাম ডাক্তার অথবা ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে। এরপর HSCতে ঢাকায় এসে বিমান বাহিনীর কলেজে ভর্তি হওয়ার সুবাদে ক্যান্টনমেন্টের সাথে পরিচয় হয়। তখন ভাবলাম ডিফেন্সেই চাকরি করতে হবে।
আর্মির কমিশন্ড অফিসারে যোগদানের জন্য দু-দুই বার আইএসএসবিও দিয়েছিলাম কিন্তু সফল হইনি। সেই সময় থেকেই কেন যেন ইউনিফর্মের প্রতি একটা টান অনুভব করতাম।
এরপরই আসলে স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম বিসিএসের মাধ্যমে পুলিশ ক্যাডারে যোগদান করব, যদি কখনো সুযোগ আসে।
★BCS যাত্রার গল্প শুনতে চাই—
মো. ওমর আলী রাসেল: বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকেই ভাবতাম বিসিএস না হলেও ভালো কিছু করতে হবে।
অনার্স দিয়েই ওই সময়ে একটি চাকরিতে যোগদান করেছিলাম। কিছুদিন করার পরে চাকরিটা ছেড়ে দেই। এর প্রায় বছরখানেক পরে একটি রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণাধীন ব্যাংকে ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা’ হিসেবে যোগদান করি।
চাকরির ফাঁকে ফাঁকে প্রস্তুতি নিয়ে বিসিএসের জন্য চেষ্টা করতে থাকি এবং ৩৬তম বিসিএসে সফল হই।
★কারো কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন কি?
মো. ওমর আলী রাসেল: কারো কাছ থেকে তেমন কোন অনু’প্রেরণা পাইনি। তবে ভালো কিছু করার পেছনে বাবা-মাই ছিলেন আমার অনুপ্রেরণা।
★ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
মো. ওমর আলী রাসেল: নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব’টাই আগে ভালোভাবে পালন করতে চাই। তবে ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে সুবিধা’বঞ্চিতদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা আছে।
Courtesy: Jago News
৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন মুনিয়া চৌধুরী। কীভাবে তিনি... আরো পড়ুন
তিনি যখন দ্বিতীয় বর্ষে, তখনই বিয়ে হয়ে যায় তার। তার ওপর... আরো পড়ুন
সরকারি কর্ম কমিশন (PSC) বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় বেশ কিছু পরিবর্তনের আভাস... আরো পড়ুন
সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হওয়া বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ছাত্র-ছাত্রীদের প্রথম পছন্দ ।... আরো পড়ুন
ভার্সিটি থেকে মাস্টার্স করা আদিত্য আজ ৭ম বারের মত ভাইভা দিয়ে... আরো পড়ুন
নিজের উপযোগী সঠিক ক্যাডার চয়েস নির্ধারণ বিসিএস পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়ায় প্রথম... আরো পড়ুন