আজ শুক্রবার ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
স্বামী-স্ত্রী দুজনই চাকরি করেন একই ব্যাংকে। এবার একসঙ্গে বিসিএস ক্যাডার (পদার্থ বিজ্ঞান) হলেন তারা। স্বামী মেধা তালিকায় (পদার্থ বিজ্ঞান) ৬ষ্ঠ স্থান অর্জন করেছেন। স্ত্রীও কম যাননি। তিনিও শিক্ষা ক্যাডার (পদার্থ বিজ্ঞান) অষ্টম হয়েছেন। স্বামী-স্ত্রীর তাক লাগানো এমন কৃতিত্বে দুই পরিবারে বইছে আনন্দের বন্যা।
৩৮তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে (পদার্থ বিজ্ঞান) মেধা তালিকায় ৬ষ্ঠ ও অষ্টম স্থান অর্জনকারী এই দম্পতি হলেন সৈয়দ সাদেকুর রহমান শাহীন ও মাদেহা বেগম চৌধুরী শোভা। এই দম্পতি সিলেট নগরের বাসিন্দা। তারা দুজন বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকে কর্মরত। এর মধ্যে স্বামী শাহিন ব্যাংকটির সিনিয়র কর্মকর্তা ও স্ত্রী মাদেহা বেগম চৌধুরী শোভা নগরের আম্বরখানা শাখার সাধারণ কর্মকর্তা।
মাদেহা বেগম চৌধুরী শোভা জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিটি সন্তান যদি তাদের বাবা-মায়ের কথামতো চলে তাহলে জীবন সংগ্রামে জয়ী হবেই। ছোটবেলা থেকেই আমার বাবা-মা পড়ালেখার জন্য খুবই যত্নশীল ছিলেন। বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল আমি যেন বিসিএস ক্যাডার হই। তাদের স্বপ্ন একসময় আমার স্বপ্ন হয়ে দাঁড়ায়। আজ বাবা-মায়ের জন্যই আমার স্বপ্নপূরণ হয়েছে। এতে আমরা সবাই খুশি।
শহুরে জীবনে বেড়ে ওঠা শোভার পড়াশোনা শুরু সিলেটের হজরত শাহজালাল ডি ওয়াই কামিল (এমএ) মাদরাসা থেকে। ছোটবেলা থেকে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ায় প্রাথমিকে বৃত্তি পান তিনি। এ সাফল্যকে পুঁজি করে এগিয়ে যান শোভা।
নগরের সোবহানিঘাট এলাকায় অবস্থিত হজরত শাহজালাল ডি ওয়াই কামিল (এমএ) মাদরাসায় পড়াশোনা চালিয়ে যান নিজের মতো করে। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে পান জিপিএ-৫। এরপর ভর্তি হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজে। বাবা-মায়ের কাছ থেকে পেয়েছেন সবসময় সহযোগিতা। কলেজ জীবনেও তিনি সাফল্য ধরে রাখেন। এইচএসসি পরীক্ষায়ও জিপিএ-৫ অর্জন করেন তিনি।
ছোটবেলা থেকেই তিনি স্বপ্ন দেখেন শিক্ষক হওয়ার। সেই সময় থেকে নিজেকে শিক্ষকতা পেশার জন্য প্রস্তুত করেন। শিক্ষার্থীদের মননে এবার শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার পালা তার।
মাদেহা চৌধুরী শোভা বলেন, আমার সব সাফল্যের কৃতিত্ব বাবা মো. ফারুক আহমদ চৌধুরী এবং মা জোবেদা বেগম চৌধুরীর। বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণাকে কাজে লাগিয়ে এ সফলতা অর্জন করতে পেরেছি। কোনো রকমের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন না হলেও ৩৮তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার সময় অসুস্থ ছিলাম। অসুস্থতা নিয়ে মৌখিক পরীক্ষা দিয়েছি।
তিনি বলেন, বিসিএসের প্রস্তুতিতে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির সবার সহযোগিতা পেয়েছি। আমার সাফল্যে স্বামীও খুশি। বিসিএসের পরীক্ষার আগে দিনে ১২-১৩ ঘণ্টা পড়াশোনা করেছি।
সৈয়দ সাদিকুর রহমান শাহিনের গ্রামের বাড়ি নরসিংদীতে। তিনি নরসিংদীর বিরাজনগর হাইস্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি ও নরসিংদী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর তিনি সিলেটের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স পাস করেন। শাহিন বর্তমানে সিলেট শহরে বসবাস করছেন।
সৈয়দ সাদিকুর রহমান বলেন, আমার এ ফলাফলের পেছনে মা-বাবা ও স্ত্রীর সর্বাত্মক সহযোগিতা রয়েছে। বাবা-মায়ের এবং শিক্ষকদের দোয়ায় আমি সফল হয়েছি। ২০১৮ সালে আমার আর শোভার বিয়ে হয়। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
চাকরির ফ্রি সাজেশন পেতে এই লিঙ্কটি ভিজিট করুন
বলতে গেলে ছোট বেলা থেকেই ব্যবসা শুরু করি। শিক্ষা জীবনের পাশাপাশি... আরো পড়ুন
১. জীবন মানেই পরীক্ষা হতাশার অন্ধাকারে ডুবে থাকা মানুষের মনে একটি... আরো পড়ুন
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ২ হাজার ৫২টি শূন্যপদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ... আরো পড়ুন
মোছা. সাবিনা ইয়াসমিন ৩৩তম BCS উত্তীর্ণ হয়ে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে কর্মরত। পিতা... আরো পড়ুন
তাদের প্রথম দেখা হয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। ৩৩তম... আরো পড়ুন
বর্তমানে চাকরি বদলানোর ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, এমনটা... আরো পড়ুন