আজ মঙ্গলবার ৮ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ২৩শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
টেক জায়ান্ট গুগল-এ যোগ দিতে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে ডাক পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের মোট চারজন শিক্ষার্থী। জানা গেছে, ডাক পাওয়া চার শিক্ষার্থীর মধে শাহেদ শাহরিয়ার এবং তামিম আদ্দারী গুগলে যোগদানের জন্য ইতোমধ্যে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনের জন্য পাড়ি জমিয়েছেন। তামিম আদ্দারি কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ হতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন এবং শাহেদ শাহরিয়ার রংপুর জিলা স্কুল হতে মাধ্যমিক এবং রংপুর সরকারি কলেজ হতে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন।শাহেদ শাহরিয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। এছাড়াও,তিনি ২০১৭ সালের আইসিপিসি ওয়ার্ল্ড ফাইনালিস্ট ছিলেন। উল্লেখ্য, তামিম আদ্দারী গুগলের নিউ ইয়র্ক অফিসে ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন এবং শাহেদ শাহরিয়ার পোল্যান্ড অফিসে ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন। এই দুইজন ছাড়াও নাহিয়ান আশরাফ রাঈদা এবং শারমীন মাহজাবিন রাখী গুগলে ডাক পেয়েছেন। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে এই দুইজন কবে যোগ
দিবেন তা এখনো গুগল থেকে জানানো হয়নি। এদের মধ্যে শাহেদ শাহরিয়ার এবং তামিম আদ্দারি দুইজনই কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগের ১৯ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। শারমীন মাহজাবিন রাখী এবং নাহিয়ান আশরাফ রাঈদা একই বিভাগের ২০ এবং ২১ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে শারমীন মাহজাবিন রাখী এই বছরের জানুয়ারিতে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে ইন্টারভিউ দিয়ে আসেন। তিনি আমাদেরকে জানান, জুলাইয়ে গুগলের মিউনিখ অফিসে তার যোগদানের কথা থাকলেও
করোনার কারণে কবে যোগ দিবেন তা নিশ্চিত নয়। তিনি মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে যথাক্রমে এ কে হাই স্কুল এন্ড কলেজ এবং আইডিয়াল কলেজে পড়াশোনা করেছেন। অপরদিকে নাহিয়ান আশরাফ রাঈদা আমাদেরকে জানিয়েছেন, তিনি গত বছরের জুলাইয়ে সিংগাপুরে ইন্টারভিউ দেন। এই বছরের জানুয়ারিতে গুগলের তাইওয়ানের তাইপেই অফিসে যোগ দেবার কথা থাকলেও করোনার কারণে কবে যোগ দিবেন সেই ব্যাপারে এখনো গুগল থেকে জানানো হয় নি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যোগ দেবার আশা করছেন তিনি। নাহিয়ান আশরাফ রাঈদা হলিক্রস গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন। নাহিয়ান আশরাফ রাঈদা এবং শারমীন মাহজাবিন রাখীর সাথে আলাপ করে জানা যায় , বেশ কয়েকটি ধাপে গুগলের রিক্রটিং প্রসেস অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে ফোনকলের মাধ্যমে প্রার্থীর সাথে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া নিয়া আলোচনা করে গুগল।এরপর গুগলের কোন ইঞ্জিনিয়ার ভিডিও কলে ৪৫ মিনিটের একটি ইন্টারভিউ নেয়। এই ধাপ পেরোলে গুগলের কোন এক অফিসে গিয়ে অনসাইট ইন্টারভিউ দিতে হয়। অনসাইটে ৩-৫ টি ৪৫ মিনিটের ইন্টারভিউ হয়।সদ্য গ্রাজুয়েট হলে সবগুলোই প্রবলেম সল্ভিং ইন্টারভিউ নেয়া হয়। অন্যথায়, একটি সিস্টেম ডিজাইন ইন্টারভিউ নেয়া হয়। সবগুলো ধাপে সফল হলে গুগলের কোন টিমের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক সেই ব্যাপারে জেনে গুগলের সংশ্লিষ্ঠ টিম মনোনীত প্রার্থীর সাথে যোগাযোগ করে।
তাদের প্রথম দেখা হয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। ৩৩তম... আরো পড়ুন
আমার জন্ম জামালপুর জেলার এক অজপাড়াগাঁয়ে। ১৪ কিলোমিটার দূরের শহরে যেতে... আরো পড়ুন
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মোহাম্মদ সামিউল আলম গুগলে চান্স পাওয়ার পর চলে গিয়েছিলেন... আরো পড়ুন
মানুষের অভ্যাসই মূল চরিত্র কিংবা মৌলিকতা। অভ্যাস বদলে গেলে মানুষ বদলে... আরো পড়ুন
উন্নত জীবন গড়ার স্বপ্ন নিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য লন্ডন গিয়েছিলেন। পড়াশোনা... আরো পড়ুন
গুগলে চাকরি করতেন মুনাফ। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন স্বাধীনচেতা। বেশি বেতনে... আরো পড়ুন