পড়াশোনা ভালো করার কার্যকরী ১০টি কৌশল
১। প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠুন। ফলে আপনি অন্যদের চেয়ে বেশি সময় পাবেন পড়াশোনার জন্য।
.
২। প্রতিদিন নতুন নতুন কিছু না কিছু শিখুন। এটি আপনাকে অন্যদের চেয়ে দিন দিন এগিয়ে নিয়ে যাবে।
.
৩। আগামীকাল কী পড়বেন তা আগের দিন প্ল্যান করে আলাদা খাতায় লিখে রাখুন এবং পরের দিন সেই প্ল্যান অনুযায়ী পড়ুন। ভাগ ভাগ করে পড়লে পড়তে ভালো লাগবে।
(খাতার নাম দিতে পারেন “স্টাডি প্ল্যান খাতা”)
.
৪। প্রতি সপ্তাহ ও মাসে কোন কোন সাবজেক্ট বা বই শেষ করবেন তা প্ল্যান করে খাতায় লিখে রাখুন। এতে করে দ্রুত কোনো বই বা সাবজেক্ট শেষ করতে পারবেন।
.
৫। কঠিন বিষয়গুলো প্রতিদিন অল্প অল্প করে পড়ুন এবং লিখে লিখে হালকা শব্দ করে পড়ার চেষ্টা করুন। এতে করে কঠিন বিষয়গুলো খুব ভালো করে শেখা হবে এবং বেশি দিন মনে থাকবে।
.
৬। যে কোনো বিষয়ে কন্সেপ্ট ক্লিয়ার করে পড়ুন। নিজে নিজে না বুঝলে অন্যের সাহায্য নিন। না বুঝে কোনো কিছু মুখস্থ করবেন না এবং পড়ার সময় পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পড়ার চেষ্টা করুন।
.
৭। মোবাইল, ইন্টারনেট, ফেইসবুক, মেসেঞ্জার, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, ইমোতে কম সময় ব্যয় করুন। এতে করে আপনার পড়ায় বেশি সময় দিতে পারবেন।
.
৮। অযথা আড্ডা বা ঘুরাফেরা করে সময় নষ্ট করা থেকে বিরত থাকুন। এতে করে আপনার মাথায় খারাপ ও অনর্থক চিন্তা কম আসবে এবং বেশি করে পড়ার সুযোগ পাবেন।
.
৯। প্রতিদিন আপনার স্বপ্নটাকে অন্তত সকাল, বিকাল, রাতে ঘুমানোর আগে একবার করে স্মরণ করুন। প্রয়োজনে আপনার স্বপ্নটিকে পড়ার টেবিলে উপর লিখে রাখতে পারেন। যেমন- ” আমি বিসিএস ক্যাডার হবো”, “আমি ব্যাংকার হবো”। এটি আপনাকে বেশি বেশি পড়তে উৎসাহ জোগাবে।
.
১০। নেতিবাচক চিন্তাশীল মানুষদের পরিহার করে চলুন এবং যতটুকু সম্ভব ইতিবাচক চিন্তাশীল মানুষদের সংস্পর্শে থাকার চেষ্টা করুন। এর ফলে করে আপনার ভিতরে ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা জাগবে।
.
কখনো হতাশ হবেন না। খারাপ সময়ে ধৈর্য ধারণ করে লক্ষ্য ঠিক রেখে পরিশ্রম করে যান। ইনশাআল্লাহ, ভালো ফল পাবেন।
ভালো লাগলে শেয়ার করে রাখুন।