NTRCA এর শিক্ষক (স্কুল/মাদ্রাসা/কলেজের) শিক্ষক হতে নিম্নোক্ত ধাপগুলোতে উত্তীর্ণ হতে হয়ঃ
১.প্রিলি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়,
২.তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়,
৩.ভাইভা পররীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়,
৪.সার্টিফিকেট সংগ্রহ ও মেধা তালিকায় স্থান পেতে হয়,
৫.দীর্ঘ ৩/৪ বছর অপেক্ষার পর গণবিজ্ঞপ্তিতে পুনরায় আবেদন করতে হয় ও নতুন করে ফি দিতে হয়,
৬. বয়স শেষ না হলে এবং ভাগ্য ভালো হলে আবেদনের পর প্রাথমিকভাবে নিয়োগ সুপারিশ পেতে হয়,
৭. তারপর পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য আবার দীর্ঘ অপেক্ষা শুরু হয়,
৮. তারপর পুলিশ ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে পুনরায় নিয়োগ সুপারিশ পেতে হয়,
৯. তারপর যোগদানের জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধান ও কমিটিকে তেল মারতে হয়,
১০. তারপর পুনরায় প্রতিষ্ঠান প্রধান নিয়োগ পত্র দিলে যোগদান প্রক্রিয়া শেষ করতে হয়।
১১. তারপর mpo এর জন্য বিভিন্ন ধরনের কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হয়।
১২. তারপর কপাল ভালো হলে এবং শূন্যপদ/মহিলা কোটা/শিক্ষক প্যাটার্ন সঠিক থাকলে mpo এর জন্য আবেদন করতে হয়(কিন্তু যদি শূন্যপদ/মহিলা কোটা/শিক্ষক প্যাটার্ন জনিত সমস্যা থাকে তাহলে MPO হবে না অর্থাৎ চাকরি হবে না বললেই চলে, আল্লাহ না করুক)।
১৩.তারপর সমস্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করা সম্পন্ন হলে প্রতিষ্ঠান থেকে অনলাইনে mpo আবেদন করে উপজেলা শিক্ষা অফিসে ফাইল পাঠাতে হয়।
১৪. উপজেলায় ফাইল রিজেক্ট না হলে জেলা শিক্ষা অফিসে যায়।
১৫. তারপর জেলা শিক্ষা অফিস থেকে ফাইল রিজেক্ট না হলে mpo ফাইল আঞ্চলিক অধিদপ্তরে যায়।
১৬. তারপর আঞ্চলিক অধিদপ্তরের উপপরিচালক, পরিদর্শক ও মহিলা পরিদর্শক একে অন্যের কাছে ফাইল চালাচালি করেন।
১৬. তারপর ফাইল চালাচালি শেষ হলে এবং রিজেক্ট না হলে ফাইল MEMIS/EMIS সেলে যায়। সর্বশেষ ধাপে উত্তীর্ণ হলেই কেবল ইনডেক্স পাওয়া যায়। এই ধাপগুলো উত্তীর্ণ হতে মিনিমাম দুই মাস লাগে । কিন্তু ফাইল রিজেক্ট হলে আরও অতিরিক্ত ২ মাস লাগে।
সবগুলো ধাপে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হলে কেবল তখনই আপনি mpo ভুক্ত অর্থাৎ বেতন ভুক্ত শিক্ষক হিসেবে বিবেচিত হবেন, এর আগে নয়।