আজ মঙ্গলবার ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রেরকঃ ব্যবস্থাপক, বঙ্গ বাজার , ঢাকা।
প্রাপকঃ সাদিয়া, সহকারী হিসাব রক্ষক।
বিষয়: বিনা অনুমতিতে কর্মস্থল ত্যাগ ও বিলম্বে আগমনের কারণ দর্শানো প্রসঙ্গে।
এতদ্বারা আপনার অবগতির জন্য জানানো যাইতেছে যে, বিগত ২২/০৭/২০২৩খ্রিঃ তারিখে নিম্ন স্বাক্ষরকারীর বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত এবং ০১/০৭/২০২৩ খ্রি. হইতে ০৭/০৭/২০২৩ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত কর্মস্থলে বিলম্বে আগমন করেন যাহা চাকুরী বিধির পরিপন্থী। এমতাবস্থায় আপনার বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহন করা হইবে না, নোটিশ পাওয়ার ০৭(সাত) কার্য দিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হইল। অন্যথায় আপনার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হইবে।
ব্যবস্থাপক
( রাকিব আহমেদ )
কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব লেখার নিয়ম
০৯।০৯।২০২৩ খ্রিঃ
মাননীয় ব্যবস্থাপক
বঙ্গ বাজার , ঢাকা।
বিষয় : কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রসঙ্গে।
জনাব,
যথা বিহীত সম্মান পূর্বক কর্তৃপক্ষের অবগতির জন্য আমি এই মর্মে প্রত্যয়ন করিতেছি যে গত পহেলা জুলাই ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ থেকে ০৭ই জুলাই ২০২৪ খ্রিঃ তারিখ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মেনে উপস্থিত ছিলাম। উল্লেখ্য করা প্রয়োজন যে , হাজিরা খাতা রেকর্ড অনুযায়ী- ১লা জুলাই অফিসে আগমন করি ৯:৪৫ মিনিটে, ২রা জুলাই অফিসে আগমন করি ৯:৪৫ মিনিটে,৩রা জুলাই অফিসে আগমন করি ৯:৩০ মিনিটে, ৪ঠা জুলাই অফিসে গমন করি ৯:৪৫ মিনিটে, ৫ই জুলাই Casual Leave নেই, ৬ই জুলাই ছিল সপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার, ৭ই জুলাই অফিসে গমন করি ৯:০০ টায়। আর এদিকে প্রস্থানটা অবশ্যই দায়িত্বরত কর্তৃপক্ষের অবগত পূর্বকই হয়েছে। কিন্তু কারণ দর্শানো নোটিশ (সুত্র নং-শামকামা ২০২৩/১৭৫) মোতাবেক আমি উক্ত কার্য দিবস গুলোতে অনিয়মিত ছিলাম। অন্যদিকে ২২ শে জুলাই ২০২৩ খিৃ. তারিখে আমি মানসিক অক্ষমতা জনিত কারণে উক্ত কার্য দিবসে অনুপস্থিত ছিলাম। ঐ দিনে আমি এমনটাই Emotional Illness ছিলাম যে পূর্বে অবহিত করণের কোনো সুযোগই সৃষ্টি হয়নি।
তবে এর দ্বারা আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে বলে আমি মনে করি না। কারণ অত্র অফিসের কার্য দিবস শুরু হয় ৯:৪০ মিনিটে । তবে এই সর্তকতাকে সাধুবাদ জানাই।
যাই হোক যে যাদের দায়িত্বে অধিষ্ঠিত তাকে, তাদের সম্পর্কে জবাবদিহি করাটাও কিন্তু পার্থিব নিয়মে গড়ে ওঠা সমাজ ব্যবস্থারও অংশ। বাস্তবে জবাবদিহির কতটুকু বলবৎ রয়েছে সে কথা ভিন্ন। ইসলাম কিন্তু অত্যন্ত সচেতনতার সঙ্গে এ জবাবদিহির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে।
আখেরাতে অনিবার্য জবাবদিহিতাকে কোনো নির্বোধ যদি উপেক্ষা ও করে – সমাজ, ও প্রশাসনিক জবাবদিহিতাকে মনে প্রাণে লালন করে, তাহলেও যে কোনো অনিয়ম করতে তার পিছপা হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে এক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষে টপ টু বটম সবার জন্য জবাবদিহিতা মূলক বিধি ব্যবস্থায় প্রচলন থাকাও বাঞ্চনীয়।
পরিশেষে আমি দ্ব্যর্থহীন ভাবে বলতে চাই প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ড আমি সহ অন্য কারো দ্বারা শৃংখলার পরিপন্থি হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। এমনটাই আশা।
নিবেদক
সাদিয়া
চাকরিজীবিদের Group এ যুক্ত হোন
এসআই থেকে হতে চেয়েছিলেন বিসিএস ক্যাডার। তাই ৪১তম বিসিএস’র প্রিলিমিনারি... আরো পড়ুন
সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে নির্দেশনাসমূহ বাস্তবায়ন করছে কিনা,... আরো পড়ুন
যদি প্রশ্ন করা হয় পৃথিবী সবচেয়ে বেশি IQ কার ছিলো? উত্তরে... আরো পড়ুন
বাংলাদেশ ব্যাংক চাহিবামাত্র ইহার বাহককে…… টাকা দিতে বাধ্য থাকিবে টাকায় কথাটি... আরো পড়ুন
দেশে এক কোটি ৫০ লাখ উচ্চ শিক্ষিত বেকারের তিন কোটি হাতকে... আরো পড়ুন
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিজীবী ছাড়া কেউ ভালো নেই। এর অনেক গুলো কারণ... আরো পড়ুন