আজ মঙ্গলবার ৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

  • ফেসবুক
  • ইউটিউব

চাকরির প্রস্তুতি

NTRCA / প্রাইমারি চাকরির স্পেশাল ভিডিও পেতে

এখানে ক্লিক করুন
  • Home
  • বাংলা
  • ইংরেজী
  • গণিত
  • সাধারণ জ্ঞাণ
  • ICT & COMPUTER
  • BCS
  • NTRCA
  • BANK
  • Primary Job
  • CGA
  • NSI
  • SI
  • FOOD
  • Railway
  • পরিবার পরিকল্পনা
  • সমাজসেবা DSS
  • বিগত সালের প্রশ্ন
  • সফলতার গল্প
  • ভাইভা প্রস্তুতি
  • শিক্ষা সংবাদ
  • শিক্ষনীয় গল্প
  • Others News

বাংলা বানান মনে রাখার সবথেকে সহজ নিয়ম

  • বাংলা
  • ১৫ জুলাই, ২০২৩ ১২:৪৮ পূর্বাহ্ণ
  • 372 views
    বাংলা বানান শেখার কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম

    ১. দূরত্ব বোঝায় না এরূপ শব্দে উ-কার যোগে ‘দুর’ (‘দুর’ উপসর্গ) বা ‘দু+রেফ’ হবে।
    যেমন— দুরবস্থা, দুরন্ত, দুরাকাঙ্ক্ষা, দুরারোগ্য, দুরূহ, দুর্গা, দুর্গতি, দুর্গ, দুর্দান্ত, দুর্নীতি, দুর্যোগ, দুর্ঘটনা, দুর্নাম, দুর্ভোগ, দুর্দিন, দুর্বল, দুর্জয় ইত্যাদি।

     ২. দূরত্ব বোঝায় এমন শব্দে ঊ-কার যোগে ‘দূর’ হবে।

    যেমন— দূর, দূরবর্তী, দূর-দূরান্ত, দূরীকরণ, অদূর, দূরত্ব, দূরবীক্ষণ ইত্যাদি।

    ৩. পদের শেষে ‘-জীবী’ ঈ-কার হবে।
    যেমন— চাকরিজীবী, পেশাজীবী, শ্রমজীবী, কৃষিজীবী, আইনজীবী ইত্যাদি।

    ৪. পদের শেষে ‘-বলি’ (আবলি) ই-কার হবে।
    যেমন— কার্যাবলি, শর্তাবলি, ব্যাখ্যাবলি, নিয়মাবলি, তথ্যাবলি ইত্যাদি।

    ৫. ‘স্ট’ এবং ‘ষ্ট’ ব্যবহার: বিদেশি শব্দে ‘স্ট’ ব্যবহার হবে। বিশেষ করে ইংরেজি st যোগে শব্দগুলোতে ‘স্ট’ ব্যবহার হবে।
    যেমন—পোস্ট, স্টার, স্টাফ, স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, স্ট্যাটাস, মাস্টার, ডাস্টার, পোস্টার, স্টুডিও, ফাস্ট, লাস্ট, বেস্ট ইত্যাদি। ষত্ব-বিধান অনুযায়ী বাংলা বানানে ট-বর্গীয় বর্ণে ‘ষ্ট’ ব্যবহার হবে।
    যেমন— বৃষ্টি, কৃষ্টি, সৃষ্টি, দৃষ্টি, মিষ্টি, নষ্ট, কষ্ট, তুষ্ট, সন্তুষ্ট ইত্যাদি।

    ৬. ‘পূর্ণ’ এবং ‘পুন’ (পুনঃ/পুন+রেফ/
    পুনরায়) ব্যবহার ‘পূর্ণ’ (ইংরেজিতে Full/Complete অর্থে) শব্দটিতে ঊ-কার এবং র্ণ যোগে ব্যবহার হবে।
    যেমন— পূর্ণরূপ, পূর্ণমান, সম্পূর্ণ, পরিপূর্ণ ইত্যাদি।
    ‘পুন’ (পুনঃ/পুন+রেফ/পুনরায়— ইংরেজিতে Re-অর্থে) শব্দটিতে উ-কার হবে এবং অন্য শব্দটির সাথে যুক্ত হয়ে ব্যবহার হবে।
    যেমন— পুনঃপ্রকাশ, পুনঃপরীক্ষা, পুনঃপ্রবেশ, পুনঃপ্রতিষ্ঠা, পুনঃপুন,
    পুনর্জীবিত, পুনর্নিয়োগ, পুনর্নির্মাণ, পুনর্মিলন, পুনর্লাভ, পুনর্মুদ্রিত, পুনরুদ্ধার, পুনর্বিচার, পুনর্বিবেচনা, পুনর্গঠন, পুনর্বাসন ইত্যাদি।

    ৭. পদের শেষে’-গ্রস্থ’ নয় ‘-গ্রস্ত’ হবে।
    যেমন— বাধাগ্রস্ত, ক্ষতিগ্রস্ত, হতাশাগ্রস্ত, বিপদগ্রস্ত ইত্যাদি।

    ৮. অঞ্জলি দ্বারা গঠিত সকল শব্দে ই-কার হবে।
    যেমন— অঞ্জলি, গীতাঞ্জলি, শ্রদ্ধাঞ্জলি ইত্যাদি।

    ৯. ‘কে’ এবং ‘-কে’ ব্যবহার: প্রশ্নবোধক অর্থে ‘কে’ (ইংরেজিতে Who অর্থে) আলাদা ব্যবহার হয়।
    যেমন— হৃদয় কে? প্রশ্ন করা বোঝায় না এমন শব্দে ‘-কে’ এক সাথে ব্যবহার হবে।
    যেমন—হৃদয়কে আসতে বলো।

    ১০. বিদেশি শব্দে ণ, ছ, ষ ব্যবহার হবে না।
    যেমন— হর্ন, কর্নার, সমিল (করাতকল), স্টার, আস্সালামু আলাইকুম, ইনসান, বাসস্ট্যান্ড ইত্যাদি।

    ১১. অ্যা, এ ব্যবহার: বিদেশি বাঁকা শব্দের উচ্চারণে ‘অ্যা’ ব্যবহার হয়।
    যেমন— অ্যান্ড (And), অ্যাড (Ad/Add), অ্যাকাউন্ট (Account), অ্যাম্বুলেন্স(Ambulance), অ্যাসিস্ট্যান্ট(Assistant), অ্যাডভোকেট (Advocate), অ্যাকাডেমিক (Academic), অ্যাডভোকেসি (Advocacy) ইত্যাদি।
    অবিকৃত বা সরলভাবে উচ্চারণে ‘এ’ হয়। যেমন—এন্টার (Enter), এন্ড (End), এডিট (Edit) ইত্যাদি।

    ১২. ইংরেজি বর্ণ S-এর বাংলা প্রতিবর্ণ হবে ‘স’ এবং sh, -sion, -tion শব্দগুচ্ছে ‘শ’ হবে।
    যেমন— সিট (Seat/Sit), শিট, (Sheet), রেজিস্ট্রেশন (Registration), মিশন (Mission) ইত্যাদি।

    ১৩. আরবি বর্ণ ﺵ ( শিন)-এর বাংলা বর্ণ রূপ হবে ‘শ’ এবং ﺙ ( সা ) , ﺱ ( সিন) ও ﺹ ( সোয়াদ)-এর বাংলা বর্ণ
    রূপ হবে ‘স’। ﺙ ( সা ) , ﺱ ( সিন) ও ﺹ ( সোয়াদ)-এর উচ্চারিত রূপ মূল শব্দের মতো হবে এবং বাংলা বানানের ক্ষেত্রে ‘স’ ব্যবহার হবে।
    যেমন— সালাম, শাহাদত, শামস্, ইনসান ইত্যাদি। আরবি, ফারসি, ইংরেজি ও অন্যান্য ভাষা থেকে আগত শব্দসমূহে ছ, ণ ও ষ ব্যবহার হবে না।

    ১৪. শ ষ স তৎসম শব্দে ষ ব্যবহার হবে। খাঁটি বাংলা ও বিদেশি শব্দে ষ ব্যবহার হবে না। বাংলা বানানে ‘ষ’ ব্যবহারের জন্য অবশ্যই ষত্ব-বিধান, উপসর্গ, সন্ধি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। বাংলায় অধিকাংশশব্দের উচ্চারণে ‘শ’ বিদ্যমান। এমনকি ‘স’ দিয়ে গঠিত শব্দেও ‘শ’ উচ্চারণ হয়। ‘স’-এর স্বতন্ত্র উচ্চারণ বাংলায় খুবই কম। ‘স’-এর স্বতন্ত্র উচ্চারণ হচ্ছে— সমীর, সাফ, সাফাই। যুক্ত বর্ণ, ঋ-কার ও র- ফলা যোগে যুক্তধ্বনিতে ‘স’-এর উচ্চারণ পাওয়া যায়।
    যেমন— সৃষ্টি, স্মৃতি, স্পর্শ, স্রোত, শ্রী,
    আশ্রম ইত্যাদি।

    ১৫. সমাসবদ্ধ পদ ও বহুবচন রূপী শব্দগুলোর মাঝে ফাঁক রাখা যাবে না।
    যেমন— চিঠিপত্র, আবেদনপত্র, ছাড়পত্র (পত্র), বিপদগ্রস্ত, হতাশাগ্রস্ত (গ্রস্ত), গ্রামগুলি/গ্রামগুলো (গুলি/গুলো), রচনামূলক (মূলক), সেবাসমূহ (সমূহ), যত্নসহ, পরিমাপসহ (সহ), ত্রুটিজনিত, (জনিত), আশঙ্কাজনক, বিপজ্জনক (জনক), অনুগ্রহপূর্বক, উল্লেখপূর্বক (পূর্বক), প্রতিষ্ঠানভুক্ত, এমপিওভুক্ত, এমপিওভুক্তি (ভুক্ত/ভুক্তি), গ্রামভিত্তিক, এলাকাভিত্তিক, রোলভিত্তিক (ভিত্তিক), অন্তর্ভুক্তকারণ, এমপিওভুক্তকরণ, প্রতিবর্ণীকরণ (করণ),

    আমদানিকারক, রফতানিকারক (কারক), কষ্টদায়ক, আরামদায়ক (দায়ক), স্ত্রীবাচক (বাচক), দেশবাসী, গ্রামবাসী, এলাকাবাসী (বাসী), সুন্দরভাবে, ভালোভাবে (ভাবে), চাকরিজীবী, শ্রমজীবী (জীবী), সদস্যগণ (গণ), সহকারী, আবেদনকারী, ছিনতাইকারী (কারী), সন্ধ্যাকালীন, শীতকালীন (কালীন), জ্ঞানহীন (হীন), দিনব্যাপী, মাসব্যাপী, বছরব্যাপী (ব্যাপী) ইত্যাদি। এ ছাড়া যথাবিহিত, যথাসময়, যথাযথ, যথাক্রমে, পুনঃপুন, পুনঃপ্রকাশ, পুনঃপরীক্ষা, পুনঃপ্রবেশ, পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বহিঃপ্রকাশ শব্দগুলো একত্রে ব্যবহার হয়।

    ১৬. বিদেশি শব্দে ই-কার ব্যবহার হবে। যেমন— আইসক্রিম, স্টিমার, জানুয়ারি, ফ্রেরুয়ারি, ডিগ্রি, চিফ, শিট, শিপ, নমিনি, কিডনি, ফ্রি, ফি, ফিস, স্কিন, স্ক্রিন, স্কলারশিপ, পার্টনারশিপ, ফ্রেন্ডশিপ, স্টেশনারি, নোটারি, লটারি, সেক্রেটারি, টেরিটরি, ক্যাটাগরি, ট্রেজারি, ব্রিজ, প্রাইমারি, মার্কশিট, গ্রেডশিট ইত্যাদি।

    ১৭. উঁয়ো (ঙ) ব্যবহার যোগে কিছু শব্দ।
    এক্ষেত্রে অনুস্বার (ং) ব্যবহার করা যাবে না।
    যেমন— অঙ্ক, অঙ্কন, অঙ্কিত, অঙ্কুর, অঙ্গ, অঙ্গন, আকাঙ্ক্ষা, আঙ্গুল/আঙুল, আশঙ্কা, ইঙ্গিত, উলঙ্গ, কঙ্কর, কঙ্কাল, গঙ্গা, চোঙ্গা/চোঙা, টাঙ্গা, ঠোঙ্গা/ঠোঙা, দাঙ্গা, পঙ্ক্তি, পঙ্কজ, পতঙ্গ, প্রাঙ্গণ, প্রসঙ্গ, বঙ্গ, বাঙালি/বাঙ্গালি, ভঙ্গ, ভঙ্গুর, ভাঙ্গা/ভাঙা, মঙ্গল, রঙ্গিন/রঙিন, লঙ্কা, লঙ্গরখানা, লঙ্ঘন, লিঙ্গ, শঙ্কা, শঙ্ক, শঙ্খ, শশাঙ্ক, শৃঙ্খল, শৃঙ্গ, সঙ্গ, সঙ্গী, সঙ্ঘাত, সঙ্গে, হাঙ্গামা, হুঙ্কার।

    ১৮. অনুস্বার (ং) ব্যবহার যোগে কিছু শব্দ।
    এক্ষেত্রে উঁয়ো (ঙ) ব্যবহার করা যাবে না।
    যেমন— কিংবদন্তী, সংজ্ঞা, সংক্রামণ, সংক্রান্ত,
    সংক্ষিপ্ত, সংখ্যা, সংগঠন, সংগ্রাম, সংগ্রহ, সংগৃহীত।

    [দ্রষ্টব্য: বাংলা ও বাংলাদেশ শব্দ দুটি অনুস্বার (ং) দিয়ে লিখতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধানে তাই করা হয়েছে।]
    ১৯. ‘কোণ, কোন ও কোনো’-এর ব্যবহার কোণ : ইংরেজিতে Angle/Corner (∠) অর্থে।
    কোন : উচ্চারণ হবে কোন্। বিশেষত
    প্রশ্নবোধক অর্থে ব্যবহার করা হয়।
    যেমন— তুমি কোন দিকে যাবে?
    কোনো : ও-কার যোগে উচ্চারণ হবে।
    যেমন— যেকোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও।

    ২০. বাংলা ভাষায় চন্দ্রবিন্দু একটি গুরুত্বপূর্ণ বর্ণ। চন্দ্রবিন্দু যোগে শব্দগুলোতে চন্দ্রবিন্দু ব্যবহার করতে হবে; না করলে ভুল হবে। অনেক ক্ষেত্রে চন্দ্রবিন্দু ব্যবহার না করলে শব্দে অর্থের পরিবর্তন ঘটে। এ ছাড়া চন্দ্রবিন্দু সম্মানসূচক বর্ণ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।
    যেমন— তাহাকে>তাঁহাকে, তাকে>তাঁকে ইত্যাদি।

    ২১. ও-কার: অনুজ্ঞাবাচক ক্রিয়া পদ এবং বিশেষণ ও অব্যয় পদ বা অন্য শব্দ যার শেষে ও-কার যুক্ত না করলে অর্থ অনুধাবনে ভ্রান্তি বা বিলম্ব সৃষ্টি হতে পারে এমন শব্দে ও-কার ব্যবহার হবে।
    যেমন— মতো, হতো, হলো, কেনো (ক্রয় করো), ভালো, কালো, আলো ইত্যাদি। বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া ও-কার ব্যবহার করা যাবে না।
    যেমন— ছিল, করল,যেন, কেন (কী জন্য), আছ, হইল, রইল, গেল, শত, যত, তত, কত, এত ইত্যাদি।

    ২২. বিশেষণবাচক আলি প্রত্যয়যুক্ত শব্দে ই-কার হবে।
    যেমন— সোনালি, রুপালি, বর্ণালি, হেঁয়ালি, খেয়ালি, মিতালি ইত্যাদি।

    ২৩. জীব, -জীবী, জীবিত, জীবিকা ব্যবহার।
    যেমন— সজীব, রাজীব, নির্জীব, চাকরিজীবী, পেশাজীবী, জীবিত, জীবিকা।

    ২৪. অদ্ভুত, ভুতুড়ে বানানে উ-কার হবে। এ ছাড়া সকল ভূতে ঊ-কার হবে।
    যেমন— ভূত, ভস্মীভূত, বহির্ভূত, ভূতপূর্ব ইত্যাদি।

    ২৫. হীরা ও নীল অর্থে সকল বানানে ঈ-কার হবে।
    যেমন— হীরা, হীরক, নীল, সুনীল, নীলক, নীলিমা ইত্যাদি।

    ২৬. নঞর্থক পদগুলো (নাই, নেই, না, নি) আলাদা করে লিখতে হবে।
    যেমন— বলে নাই, বলে নি, আমার ভয় নাই, আমার ভয় নেই, হবে না, যাবে না।

    ২৭. অ-তৎসম অর্থাৎ তদ্ভব, দেশি, বিদেশি, মিশ্র শব্দে ই-কার ব্যবহার হবে।
    যেমন— সরকারি, তরকারি, গাড়ি, বাড়ি, দাড়ি, শাড়ি, চুরি, চাকরি, মাস্টারি, মালি, পাগলামি, পাগলি, বোমাবাজি, দাবি, হাতি, বেশি, খুশি, হিজরি, আরবি, ফারসি, ফরাসি, ইংরেজি, জাপানি, জার্মানি, ইরানি, হিন্দি, সিন্ধি, ফিরিঙ্গি, সিঙ্গি, ছুরি, টুপি, দিঘি, কেরামতি, রেশমি, পশমি, পাখি, ফরিয়াদি, আসামি, বেআইনি, কুমির, নানি, দাদি, বিবি, চাচি, মাসি, পিসি, দিদি, বুড়ি, নিচু।

    ২৮. ত্ব, তা, নী, ণী, সভা, পরিষদ, জগৎ, বিদ্যা, তত্ত্ব শব্দের শেষে যোগ হলে ই-কার হবে।
    যেমন— দায়িত্ব (দায়ী), প্রতিদ্বন্দ্বিতা (প্রতিদ্বন্দ্বী), প্রার্থিতা (প্রার্থী), দুঃখিনী (দুঃখী), অধিকারিণী (অধিকারী), সহযোগিতা (সহযোগী), মন্ত্রিত্ব, মন্ত্রিসভা, মন্ত্রিপরিষদ (মন্ত্রী), প্রাণিবিদ্যা, প্রাণিতত্ত্ব, প্রাণিজগৎ, প্রাণিসম্পদ (প্রাণী) ইত্যাদি।

    ২৯. ঈ, ঈয়, অনীয় প্রত্যয় যোগ ঈ-কার হবে।
    যেমন— জাতীয় (জাতি), দেশীয় (দেশি ), পানীয় (পানি), জলীয়, স্থানীয়, স্মরণীয়, বরণীয়, গোপনীয়, ভারতীয়, মাননীয়, বায়বীয়, প্রয়োজনীয়, পালনীয়, তুলনীয়, শোচনীয়, রাজকীয়, লক্ষণীয়, করণীয়।

    ৩০. রেফের পর ব্যঞ্জনবর্ণের দ্বিত্ব হবে না৷
    যেমন— অর্চনা, অর্জন, অর্থ, অর্ধ, কর্দম, কর্তন, কর্ম, কার্য, গর্জন, মূর্ছা, কার্তিক, বার্ধক্য, বার্তা, সূর্য৷

    ৩১. ভাষা ও জাতিতে ই-কার হবে। যেমন— বাঙালি/বাঙ্গালি, জাপানি, ইংরেজি, জার্মানি, ইরানি, হিন্দি, আরবি, ফারসি ইত্যাদি।

    ৩২. ব্যক্তির ‘-কারী’-তে (আরী) ঈ-কার হবে।
    যেমন— সহকারী, আবেদনকারী, ছিনতাইকারী, পথচারী, কর্মচারী ইত্যাদি। ব্যক্তির ‘-কারী’ নয়, এমন শব্দে ই-কার হবে।
    যেমন— সরকারি, দরকারি ইত্যাদি।

    ৩৩. প্রমিত বানানে শব্দের শেষে ঈ-কার থাকলে –গণ যোগে ই-কার হয়।
    যেমন— সহকারী>সহকারিগণ, কর্মচারী>কর্মচারিগণ,
    কর্মী>কর্মিগণ, আবেদনকারী>আবেদনকারিগণ
    ইত্যাদি।

    ৩৪. ‘বেশি’ এবং ‘-বেশী’ ব্যবহার: ‘বহু’, ‘অনেক’ অর্থে ব্যবহার হবে
    ‘বেশি’। শব্দের শেষে
    যেমন— ছদ্মবেশী, প্রতিবেশী অর্থে ‘-
    বেশী’ ব্যবহার হবে।

    ৩৫. ‘ৎ’-এর সাথে স্বরচিহ্ন যোগ হলে ‘ত’ হবে।
    যেমন— জগৎ>জগতে জাগতিক, বিদ্যুৎ>বিদ্যুত ে বৈদ্যুতিক, ভবিষ্যৎ>ভবিষ্যতে, আত্মসাৎ>আত্মসাত ে, সাক্ষাৎ>সাক্ষাত ে ইত্যাদি।

    ৩৬. ইক প্রত্যয় যুক্ত হলে যদি শব্দের প্রথমে অ-কার থাকে তা পরিবর্তন হয়ে আ-কার হবে।
    যেমন— অঙ্গ>আঙ্গিক, বর্ষ>বার্ষিক,
    পরস্পর>পারস্পরিক, সংস্কৃত>সাংস্কৃতিক, অর্থ>আর্থিক, পরলোক>পারলৌকিক, প্রকৃত>প্রাকৃতিক, প্রসঙ্গ>প্রাসঙ্গিক, সংসার>সাংসারিক, সপ্তাহ>সাপ্তাহিক, সময়>সাময়িক, সংবাদ>সাংবাদিক,প্রদেশ>প্রাদেশিক, সম্প্রদায়>সাম্প্রদায়িক ইত্যাদি।

    ৩৭. সাধু থেকে চলিত রূপের শব্দসমূহ যথাক্রমে দেখানো হলো:
    আঙ্গিনা>আঙিনা, আঙ্গুল>আঙুল, ভাঙ্গা>ভাঙা, রাঙ্গা>রাঙা, রঙ্গিন>রঙিন, বাঙ্গালি>বাঙালি, লাঙ্গল>লাঙল, হউক>হোক, যাউক>যাক, থাউক>থাক, লিখ>লেখ, গুলি>গুলো, শুন>শোন, শুকনা>শুকনো, ভিজা>ভেজা, ভিতর>ভেতর, দিয়া>দিয়ে, গিয়া>গিয়ে, হইল>হলো, হইত>হতো, খাইয়া>খেয়ে, থাকিয়া>থেকে, উল্টা>উল্টো, বুঝা>বোঝা, পূজা>পুজো, বুড়া>বুড়ো, সুতা>সুতো, তুলা>তুলো, নাই>নেই, নহে>নয়, নিয়া>নিয়ে, ইচ্ছা>ইচ্ছে ইত্যাদি।

    ৩৮. হয়তো, নয়তো বাদে সকল তো আলাদা হবে।
    যেমন— আমি তো যাই নি, সে তো আসে নি ইত্যাদি।
    [দ্রষ্টব্য: মূল শব্দের শেষে আলাদা তো
    ব্যবহারের ক্ষেত্রে এ বিধান প্রযোজ্য হবে।]

    ৩৯. ঙ, ঞ, ণ, ন, ং বর্ণের পূর্বে ঁ হবে না।
    যেমন— খান (খাঁ), চান, চন্দ (চাঁদ), পঞ্চ, পঞ্চাশ (পাঁচ) ইত্যাদি।

    ৪০. -এর, -এ ব্যবহার:
    => চিহ্নিত শব্দ/বাক্য বা উক্তির সাথে সমাসবদ্ধ রূপ।
    যেমন— গুলিস্তান ‘ভাসানী হকি ষ্টেডিয়াম’-এর সাইনবোর্ডে স্টেডিয়াম বানানটি ভুল।
    => শব্দের পরে যেকোনো প্রতীকের
    সাথে সমাসবদ্ধ রূপ। যেমন— বিসর্গ (ঃ )-এর সঙ্গে স্বরধ্বনি কিংবা ব্যঞ্জনধ্বনির যে সন্ধি হয়, তাকে বিসর্গসন্ধি বলে।
    => বিদেশি শব্দ অর্থাৎ বাংলায় প্রতিবর্ণীকরণ নয় এমন শব্দের সাথে সমাসবদ্ধ রূপ। যেমন— SMS-এর মাধ্যমে টাকা পাঠাতে হবে।
    => গাণিতিক শব্দের সাথে সমাসবদ্ধ রূপ। যেমন— ৫-এর চেয়ে ২ কম।

    => সংক্ষিপ্ত শব্দের সাথে সমাসবদ্ধ রূপ। যেমন—
    অ্যাগ্রো কোম্পানি লি.-এর সাথে চুক্তি।
    এ ছাড়া পৃথক রূপে ব্যবহার করা যাবে না।
    যেমন— বাংলাদেশ-এর না লিখে বাংলাদেশের, কোম্পানি-এর না লিখে কোম্পানির, শিক্ষক-এর না লিখে শিক্ষকের, স্টেডিয়াম-এ না লিখে স্টেডিয়ামে, অফিস-এ না লিখে অফিসে লিখতে হবে।
    ম -ফলা ও ব-ফলার উচ্চারণ:
    ম -ফলার উচ্চারণ:

    ক. পদের প্রমে ম-ফলা থাকলে সে বর্ণের
    উচ্চারণে কিছুটা ঝোঁক পড়ে এবং সামান্য নাসিক্যস্বর হয়। যেমন— শ্মশান ( শঁশান্), স্মরণ (শঁরোন্)।
    কখনো কখনো ‘ম’ অনুচ্চারিত থাকতে ও পারে।
    যেমন— স্মৃতি (সৃতি বা সৃঁতি)।
    খ. পদের মধ্যে বা শেষে ম-ফলা যুক্ত হলে
    উচ্চারণে সে বর্ণের দ্বিত্ব হয় এবং সামান্য

    নাসিক্যস্বর হয়।
    যেমন— আত্মীয় (আত্তিঁয়), পদ্ম (পদ্দোঁ), বিস্ময় (বিশ্শঁয়), ভস্মস্তূপ (ভশ্শোঁস্তুপ্), ভস্ম (ভশ্শোঁ), রশ্মি (রোশ্শিঁ)।
    গ. গ, ঙ, ট, ণ, ন, বা ল বর্ণের সঙ্গে ম-ফলা যুক্ত হলে, ম-এর উচ্চারণ বজায় থাকে। যুক্ত ব্যঞ্জনের প্রথম বর্ণের স্বর লুপ্ত হয়।
    যেমন— বাগ্মী (বাগ্মি), যুগ্ম (যুগ্মো), মৃন্ময় (মৃন্ময়), জন্ম (জন্মো), গুল্ম (গুল্মো)।
    ব -ফলার উচ্চারণ:
    ক. শব্দের প্রমে ব-ফলা যুক্ত হলে উচ্চারণে শুধু সে বর্ণের উপর অতিরিক্ত ঝোঁক পড়ে। যেমন— ক্বচিৎ (কোচিৎ), দ্বিত্ব (দিত্তো), শ্বাস (শাশ্),
    স্বজন (শজোন), দ্বন্দ্ব (দন্দো)।

    খ. শব্দের মধ্যে বা শেষে ব-ফলা যুক্ত হলে যুক্ত ব্যঞ্জনটির দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়। যেমন— বিশ্বাস (বিশ্শাশ্), পক্ব (পক্কো), অশ্ব (অশ্শো)।
    গ. সন্ধিজাত শব্দে যুক্ত ব-ফলায় ব-এর উচ্চারণ বজায় থাকে।
    যেমন— দিগ্বিজয় (দিগ্বিজয়), দিগ্বলয় (দিগ্বলয়)।
    ঘ. শব্দের মধ্যে বা শেষে ‘ব’ বা ‘ম’-এর সঙ্গে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-এর উচ্চারণ বজায় থাকে।
    যেমন— তিব্বত (তিব্বত), লম্ব (লম্বো)।

    ঙ. উৎ উপসর্গের সঙ্গে ব-ফলা যুক্ত হলে ব-এর উচ্চারণ বহাল থাকে।
    যেমন— উদ্বাস্তু (উদ্বাস্তু), উদ্বেল (উদ্বেল্)
    প্রয়োজনীয় কিছু শুদ্ধ বানানঃ
    ১. উজ্জ্বল, জ্বলজ্বলে, জ্বলন্ত, জ্বালানি,

    প্রাঞ্জল, অঞ্জলি, শ্রদ্ধাঞ্জলি,গীতাঞ্জলি।
    ২. পেশাজীবী, কর্মজীবী, ক্ষণজীবী, দীর্ঘজীবী, বুদ্ধিজীবী, অভিমানী, প্রতিদ্বন্দ্বী, প্রতিযোগী, মেধাবী, প্রতিরোধী একাকী, দোষী, বৈরী, মনীষী, সঙ্গী।
    ৩. উন্নয়নশীল, দানশীল, উৎপাদনশীল, ক্ষমাশীল, নির্ভরশীল, দায়িত্বশীল, সুশীল, ধৈর্যশীল।

    ৪. অধ্যক্ষ, প্রতীক, ব্যাখ্যা,আকস্মিক, মূর্ছা, ক্ষীণ, মুখমণ্ডল, অনুরণন, হাস্যাস্পদ, সালিস, সত্বর, উচ্ছ্বসিত, স্বেচ্ছাচারী, কর্মচারী,বিচি, বাণী, শ্বশুর,শাশুড়ি ।
    ৫. ইতোমধ্যে, পরিপক্ব, লজ্জাকর, ভাস্কর, দুষ্কর, সুষমা, নিষিদ্ধ ষোড়শ, নিষ্পাপ, কলুষিত, বিষন্নতা, ওষ্ঠ, সম্মুখ, সম্মান, সংজ্ঞা, ব্যাখ্যা, আনুষঙ্গিক, রূদ্ধশ্বাস, দুর্নাম, অন্তঃস্থল, নগণ্য, আতঙ্ক, জটিল, গগণ, তিথি, অতিথি।

    ভাষারীতি ও বিরাম চিহ্নের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোওর।

    #ভাষারীতি ও বিরাম চিহ্ন ( অ্যাডমিশন/নিবন্ধন/বিসিএস/প্রাইমারি পরিক্ষায় এখান থেকে ১ মার্ক... আরো পড়ুন

    বাংলা বানান আর ভুল হবেনা এই নিয়মগুলো মনে রাখলে।

    #বাংলা বানান গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিয়ম দিচ্ছি। সহজে মনে থাকার মতো করে।... আরো পড়ুন

    বাগধারা মনে রাখার সবথেকে সহজ পদ্ধতি।

    বাগধারা মনে রাখার সহজতর পদ্ধতি। অসম্ভব জিনিস = আকাশ কুসুম, কাঁঠালের... আরো পড়ুন

    বাংলা ব্যাকরণের সবথেকে ২৫টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোওরঃ যা চাকরির পরীক্ষায় বার বার এসেছে

    ১। ভাষার মূল উপকরণ >> বাক্য ২। ভাষার মূল উপাদান >>>... আরো পড়ুন

    সমাসের শর্ট টেকনিকসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন । চাকরির প্রস্তুতি।

    সমাস প্রধানত ৬ প্রকার: ছন্দে ছন্দে মনে রাখুন.. ১) দ্বন্দ্ব সমাস... আরো পড়ুন

    বাংলা বানান মনে রাখার সবথেকে সহজ টেকনিক।

    টেকনিকে শুদ্ধ বানান বাংলা বানান সতর্কতা ১. সমস্ত ‘-জীবী’ বানানে ‘বী’;... আরো পড়ুন

    সর্বাধিক পঠিত সর্বশেষ পাওয়া
  • ইনশাআল্লাহ এই ৫০টি বাগধারা থেকে ১মার্ক কমন পড়ার সম্ভাবনা অনেক।
  • সমাসের শর্ট টেকনিকসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন । চাকরির প্রস্তুতি।
  • যেভাবে সাব-ইন্সপেক্টর বা SI হবেন।
  • অডিটর ও জুনিয়র অডিটর পদের প্রশ্ন পদ্ধতি, মান বণ্টন এবং প্রস্তুতি জানুন:
  • মুদ্রা মনে থাকবে আজীবন : চাকরীর পরীক্ষায় ১মার্ক আসে
  • SSC পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ডাউনলোড করুন।
  • বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস থেকে বাছাইকৃত কমনোপযোগী প্রশ্ন।
  • NTRCA ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার্থীদের জন্য
  • ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন রিটেন সাজেশন ২০২৫ (স্কুল লেভেল ) ।
  • এনটিআরসিএ ১৯তম শিক্ষক নিবন্ধন রিটেন সাজেশন ২০২৫ উত্তরসহ ডাউনলোড করে নিন
  • NTRCA ১৯তম প্রিলির ফ্রি সাজেশন ২০২৫
  • হাতের লেখা ভালো করার কৌশল!
  • ড. মোহাম্মদ ইউনূস স্যার সর্ম্পকে……
  • ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভাতে ভালো করার টিপস
  • Right forms of verbs এর নিয়ম ও ব্যবহার  
  • ড. ইউনুসের সিভি দেখুন। CV of Professor Muhammad Yunus
  • ফেসবুক পেজ

    Sadik Sir

    যোগাযোগ

    Sadik Sir

    ঠিকানা : ঢাকা ১২০০
    হটলাইন নাম্বার : ০১৩০৫-৭৫৪০০২, ০১৭৯৫-২৯২২২৭
    ইমেইল করুন : umrsadik@gmail.com

    • ফেসবুক
    • ইউটিউব