আজ শুক্রবার ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

  • ফেসবুক
  • ইউটিউব

চাকরির প্রস্তুতি

NTRCA / প্রাইমারি চাকরির স্পেশাল ভিডিও পেতে

এখানে ক্লিক করুন
  • Home
  • বাংলা
  • ইংরেজী
  • গণিত
  • সাধারণ জ্ঞাণ
  • ICT & COMPUTER
  • BCS
  • NTRCA
  • BANK
  • Primary Job
  • CGA
  • NSI
  • SI
  • FOOD
  • Railway
  • পরিবার পরিকল্পনা
  • সমাজসেবা DSS
  • বিগত সালের প্রশ্ন
  • সফলতার গল্প
  • ভাইভা প্রস্তুতি
  • শিক্ষা সংবাদ
  • শিক্ষনীয় গল্প
  • Others News
  • Shop
  • Cart
  • Checkout
  • My account
  • Buy Adspace
  • Hide Ads for Premium Members

অভারের মধ্যে বড় হওয়া লিজা হলেন বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার!

  • সফলতার গল্প
  • ২১ জুন, ২০২১ ১২:২২ পূর্বাহ্ণ
  • 227 views

    রওশনা জাহান লিজা: আমি মো. আবুল কাশেম ও মোছা. ছালেহা বেগমের দ্বিতীয় এবং ছোট সন্তান। আমার বাবা হোমিও ডাক্তার, মা গৃহিনী। বড় ভাই রহমতুল্লাহ্ আল-আমিন বাংলাদেশ রেলওয়েতে কর্মরত। আমার ছেলেবেলা, স্কুল ও কলেজ জীবন কেটেছে মাথাভাঙা তীরবর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের পলাশ পাড়ায়। বাবা নৌবাহিনীতে চাকরি করতেন। কিন্তু তার খামখেয়ালিপনা ও শৌখিনতার কারণে চাকরিটা নিয়মিত করতে পারেননি।

    পরবর্তীতে রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারের চাকরিতেও যোগদান না করে হোমিওপ্যাথি চর্চা ও বই পড়ায় মনোনিবেশ করেন। যে কারণে ছোটবেলা থেকেই অভাব-অনটনে দিনাতিপাত করতে হয়েছে। তবে বাবার এ খামখেয়ালিপনা আমাকে কঠোর পরিশ্রমী, আত্মপ্রত্যয়ী, চ্যালেঞ্জ গ্রহণসহ তা মোকাবেলা করা শিখিয়েছে।

    বাবাই আমার সব সংগ্রামে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ছিলেন এবং আছেন। আমার মা কখনো নিজের সুখ ও শৌখিনতার দিকে না তাকিয়ে আমাদের দু’ভাইবোনকে মানুষ করার পেছনে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তবে বাবার কাছ থেকে পেয়েছি উচ্চশিক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত             হওয়ার প্রেরণা। আমার এখনও মনে পড়ে- আমাদের দুঃখের সময় বাবা আমাকে বলতেন, ‘Prosperity and adversity comes by turn’. যেটা আমার জীবনে অক্ষরে অক্ষরে সত্যি হয়েছে।

    আরও মনে পড়ে- বাবার সাথে ছেলেবেলায় কাটানো দিনগুলো। বাবার হাত ধরে মাথাভাঙা নদীতে সাঁতার কাটতে যেতাম। বাবার কাছেই সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছি। এ সময় পর্যন্ত কোন প্রাইভেট টিউটরের কাছে যাইনি। বাবাকে বড্ড ভয়ও পেতাম। একটা ভয়ের ঘটনা বলি- স্কুলে পড়াকালীন বাবা আমার বার্ষিক পরীক্ষার প্রত্যেকটি পরীক্ষার প্রশ্ন মুখে মুখে ধরতেন। তাই আমি পরীক্ষায় যে প্রশ্নটি না পারতাম; সেটা পরীক্ষা শেষে স্কুলে পড়ে নিয়ে বাড়ি আসতাম।

    জাগো নিউজ: শৈশবের গল্প শুনে মনে হচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে আরও কোন অ্যাডভেঞ্চার অপেক্ষা করছে–
    রওশনা জাহান লিজা: প্রথমেই বলেছি- অভাবকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। অভাবের কারণে বাড়ির পাশের কিন্ডারগার্টেন স্কুল থাকলেও পড়তে হয়েছে দূরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। আমি যখন ঝিনুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ি; তখন খাতা কেনার অভাবে মা আমাকে ক্যালেন্ডার দিয়ে খাতা বানিয়ে দিতেন।

    আমি তার পেছনের পাতায় লিখতাম। এমনকি পরিচিতজন ও আত্মীয়ের পুরনো বই                      পড়ে স্কুল জীবন শেষ করেছি। অষ্টম শ্রেণিতে অর্ধবেতনে ইংরেজি ও গণিত পড়ার সুযোগ পাই শ্রদ্ধেয় শিক্ষক প্রয়াত ফারুক আহমেদ ও শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ স্যারের কাছে। এজন্য আমি স্যারদের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। এ সময় থেকে আমার নিজেরও টিউশন জীবনের হাতেখড়ি, যা আমাকে স্কুল ও কলেজ জীবন শেষ করার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রেখেছ

    জীবনে প্রথম সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগি নবম শ্রেণিতে ওঠার সময়। বাবা ও শিক্ষকরা চেয়েছিলেন আমি যেন বিজ্ঞানে পড়ালেখা করি। কিন্তু আমার একমনে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অন্যমন আমাকে স্মরণ করিয়ে দেয় অর্থনৈতিক চিন্তার কথা। বিজ্ঞানে বেশি প্রাইভেট পড়তে হবে বলে আমি মানবিকে ভর্তি হই। আর তখনই আমি সিদ্ধান্ত নেই- মানবিক থেকে জীবনে ভালো কিছু করবো এবং স্বপ্ন দেখি                           ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে পড়ার। পরবর্তীতে চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০৬ সালে মানবিক বিভাগে আমার নিজ স্কুল এবং জেলা সদর থেকে আমিই প্রথম জিপিএ ৫ পেয়ে পত্রিকায় নাম উঠাতে সক্ষম হয়েছিলাম।

    এরপর আমাকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। আমি বোর্ড বৃত্তি, জেলা পরিষদ বৃত্তি, জেলা প্রশাসকের অনুদান এবং আত্মীয়-স্বজনের সহায়তায় ২০০৮ সালে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করি। কিন্তু বিপত্তি ঘটে তখন; যখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির উদ্দেশে ঢাকা শহরে কোচিংয়ের জন্য আসি। ঢাকায় কোচিংয়ে ভর্তি করানোর জন্য পরিবারের অর্থনৈতিক সামর্থ ছিল না। কিন্তু জেদ ধরাতে বাবা জমি বন্ধক রেখে টাকা দেন কোচিংয়ে ভর্তি হতে।এরপর ঢাকা শহরে প্রথম আসাতে এখানকার আবহাওয়া মানিয়ে নিতে না                           পারায় টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হই। বাড়িতে ফিরে যখন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছিলাম; তখন আমার এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। আমি জিপিএ ৪.৯০ পেয়ে চরমভাবে ভেঙে পড়ি। ফলাফল কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিলাম না। তবে এ ভাঙামন আমাকে নতুনভাবে তাড়না দেয় এবং মনে দৃঢ়তা এনে দেয়। আমি তিনদিন পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরি, তখন কেবল কোন রকম দাঁড়াতে পারি। পরদিনই ঢাকা ফিরে আসি। আমার শিক্ষা জীবনে রোদ, ঝড়, বৃষ্টি, অসুস্থতা কখনও আমার উপস্থিতিকে দমাতে পারেনি। এরপর আমি প্রথমবারেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাই।

    জাগো নিউজ: আপনার সংগ্রামের গল্প শুনে অনুপ্রাণিত হচ্ছি। আপনার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। কিন্তু এরপর কেমন কেটেছে উচ্চশিক্ষার সময়গুলো?
    রওশনা জাহান লিজা: বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সময় থেকেই কঠিনতম সংগ্রামে প্রবেশ করি। ভর্তির পর হলের বাইরে থেকে লেখাপড়া নিয়মিত করা বেশ কঠিন ছিল। তবে এ যাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয় ও এলাকার বড় ভাই সোহাগ ভাইয়ের সাহায্যে                        শুরুতেই রোকেয়া হলে উঠি। কিন্তু প্রথম বর্ষে কোন টিউশন না পাওয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের শিক্ষা ঋণের শরণাপন্ন হই। এখনও আমার ৫০ হাজার টাকা শিক্ষা ঋণ অপরিশোধিত রয়েছে। যা এখন আমার পরিবার পরিশোধ করতে সক্ষম। কিন্তু আমার একান্ত ইচ্ছা আমি চাকরি জীবন শুরু করে নিজে এটা পরিশোধ করবো। এজন্য আমি গ্রামীণ ব্যাংকের কাছে চিরকৃতজ্ঞ।

    কিছুদিনের মধ্যেই একটি টিউশনের ব্যবস্থা হয় মালিবাগে। একটা টিউশনে বই কেনা, লেখাপড়া, খাওয়া খরচসহ অন্যান্য খরচ চালানো কষ্টকর ছিল। এজন্য আমি পায়ে হেঁটে রোকেয়া হল থেকে মালিবাগ আসা-যাওয়া করতাম। তবে এ কষ্ট আমার তেমন কষ্টকর মনে হতো না। কষ্ট হয়েছিল তখন; যখন নভেম্বর-ডিসেম্বরে বাচ্চাদের পরীক্ষা শেষ হলে টিউশন বন্ধ থাকতো। কষ্টের কথা বলি- একবার বছর শেষে টিউশন না থাকায় শীতের ছুটিতে বাড়ি যাই। কিন্তু ছুটি শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরতে পারছিলাম না। ছিল না বাস ভাড়ার টাকা।

    তখন টিউশন মিডিয়ার বাবু ভাইয়ের কাছে ফোন করে খুব কেঁদেছিলাম। তিনি তখন ২টি টিউশনের ব্যবস্থা করে দেন। এরপর থেকে আমার আর কখনো টিউশনির অভাব হয়নি। আমি একজন মেয়ে হয়ে ঢাকার বুকে দুপুর ২টা থেকে একটানা রাত ৮টা পর্যন্ত মিরপুর, মালিবাগ, মগবাজার, জাহাঙ্গীর গেট টিউশনি করেছি। অন্যদেরকেও টিউশন দিয়ে সাহায্য করেছি। এ ব্যস্ততার ফাঁকে সময় পেলে রোকেয়া হল রেঞ্জার ইউনিটে ও পথশিশুদের নিয়ে কাজ করতাম। কিছু কথা বলতেই হয়- আমার স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের কিছু বন্ধু ছিলো, যারা সবসময় আমার বিপদে পাশে থেকেছে। নিজেকে অনেক ভাগ্যবতী মনে করি। আমার পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও বন্ধুদের কাছ থেকে সামাজিক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হইনি। তারা আমাকে সেই পরিবেশ দিয়েছে; যেখানে ছেলে-মেয়ে কোন ভেদাভেদ ছিল না।

    জাগো নিউজ: দাম্পত্য জীবন, পোস্ট গ্রাজুয়েশন এবং বিসিএস যাত্রা সম্পর্কে কিছু বলুন–
    রওশনা জাহান লিজা: জীবনের সাথে সংগ্রাম করতে করতে সিদ্ধান্ত নিলাম কারো ওপর নির্ভরশীল হওয়ার। জীবনের বাকি স্বপ্নগুলো একসঙ্গে পূরণ করার। সুন্দর মনের একজনকে পেয়েও গেলাম। নিজের ইচ্ছা ও পরিবারের সম্মতিতে আমরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলাম। এরপর এমএ ভর্তির পর আমার শরীরে নতুন প্রাণের অস্তিত্ব টের পেলাম। তারপর অর্থনৈতিক সংগ্রামকে পেছনে ফেলে শুরু হলো নতুন সংগ্রাম। আমার তখন একমাত্র লক্ষ্য- যেভাবেই হোক এমএ শেষ করবো এবং একটি সুস্থ বাচ্চার জন্ম দেবো। কিন্তু বিপত্তি ঘটলো তখনই; যখন শুনলাম আমার ফাইনাল পরীক্ষার তারিখ ও ডেলিভারির তারিখ একই সময়ে। তখন আমি ভাবতাম, মিরপুর ১৪ থেকে বাসে নিয়মিত ৬-৮ ঘণ্টা ক্লাস করার কথা। মনে হতো এত কষ্ট করে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পরও কি আমি পরীক্ষার হলে বসতে পারবো না!

    এত এত উদ্বিগ্নতায় আমার প্রেগন্যান্সির শেষ দিকে আমার হিমোগ্লোবিন নেমে আসে ৬.৫ এ। এটা ডেলিভারি ডেটের ঠিক ১৫ দিন আগে। মিরপুরে যেখানে ডাক্তার দেখাতাম, তারা রিস্ক নিতে রাজি হলেন না। পরামর্শ দিলেন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা করানোর জন্য।
    ইতোমধ্যে ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে। আমি পরীক্ষা দিচ্ছি আর ধানমন্ডিতে ডিএমসির                   কনসালটেন্টের পরামর্শে প্রতিটি পরীক্ষার শেষে হাসপাতাল থেকে হয় ব্লাড নতুবা হিমোগ্লোবিন বাড়ানোর ইঞ্জেকশন নিয়ে বাসায় ফিরতাম রাত ৯-১০টার সময়। ব্লাড নেওয়ার মধ্যে চরমভাবে অসুস্থও হই। যা হোক, আমি আমার ডিপার্টমেন্টের শিক্ষকদের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা আমাকে পরীক্ষার হলের পেছন দিকে বসার ব্যবস্থা করেছিলেন। সেখানে আমি কখনও বসে, কখনও দাঁড়িয়ে, কখনও বা হেঁটে পরীক্ষা শেষ করেছি। শেষ পরীক্ষার দিন বিশেষ অনুমতিক্রমে ভাইভা দিয়ে এমএ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করেছি। আল্লাহর অশেষ রহমতে ভাইভার পরদিন সি সেকশনে আমার একটি মেয়ে হলো।

    এরপর শুরু হয় স্বপ্নকে ছোঁয়ার লড়াই। যখন প্রথম ৩৫তম বিসিএস পাই, তখন মেয়ের বয়স মাত্র ৪ মাস। আবেদন করেও প্রস্তুতি না থাকায় পরীক্ষা দেইনি। ৩৬তম বিসিএসের সময়ও মেয়েকে সময় দিতে গিয়ে পড়ার সুযোগ মেলেনি। যথারীতি                     এটাও মিস করলাম। অবশেষে স্বামী মো. নজরুল ইসলামের অনুপ্রেরণা, পরামর্শ ও সহযোগিতায় আমার মা-বাবাকে নিজের কাছে নিয়ে আসলাম। এ সময়ে প্রাইভেট চাকরিতে যোগদানের সুযোগ ছিল। কিন্তু স্বামী আমাকে বলেছেন, ‘এ চাকরি করার দরকার নেই। আগে ভালো কিছুর চেষ্টা করো। তারপর না হলে করবে।’

    এরপর শুরু হলো ৩৭তম বিসিএস প্রস্তুতি। এমনভাবে নিজেকে প্রস্তুত করছিলাম যে, সুযোগ পেয়েছি একটাই। সুতরাং কোন ত্রুটি রাখা যাবে না। দিন-রাত পড়াশোনা করতাম। মেয়েকে মায়ের কাছে নিশ্চিন্তে রেখে সকাল ১১টায় কোচিংয়ের                        লাইব্রেরিতে চলে যেতাম। ফিরতাম রাত ৯টায়। এরপরের সময়টুকু মেয়ের জন্য বরাদ্দ রেখে আবার রাত ১২টা থেকে ৩-৪টা পর্যন্ত পড়তাম। একটানা এত পড়া জীবনে কখনো পড়িনি। বলা যায়, লেখাপড়ার প্রতি একপ্রকার আসক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। এমন সময় পার করছিলাম যে, স্বামীর সাথে একই বাসায় থেকেও সপ্তাহে দু’একদিন দেখা হতো শুধু সময়ের অভাবে।
    মাঝে মাঝে খুব হতাশ লাগতো এই ভেবে যে, কী জীবন পার করছি! তখন স্বামী বোঝাতো, ‘আর কিছুদিন কষ্ট করো। এরপর তো শুধু তুমি আর আমি আর আমাদের বাস্তবায়িত স্বপ্ন।’ এ সময়ে মায়ের সহায়তার কথা কী-ই বা বলবো! মা ছাড়া আমার                        সব অর্জন নস্যি। অবশেষে স্রষ্টার অশেষ কৃপায় প্রথম প্রস্তুতিতেই প্রথম চাকরির প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং ভাইভা উত্তীর্ণ হয়ে ৩৭তম বিসিএস এ প্রশাসনে ৫৭তম অবস্থান নিয়ে সুপারিশ*প্রাপ্ত

    জাগো নিউজ: জীবনের এতো এতো সংগ্রামের পর সফলতা পেলেন। সেই সফলতার উপলব্ধি ও ইচ্ছা সম্পর্কে কিছু বলুন–
    রওশনা জাহান লিজা: ইচ্ছাশক্তি, পরিশ্রম, সাহস, প্রচেষ্টা আর একাগ্রতা যে কোন বাধাকে দূরে ঠেলে দেয় এবং সফলতার দিকে ধাবিত করে। ছোট ছোট সফলতাকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিলে আরও অনেক বড় সফলতা পাওয়া যায়। ব্যর্থতাকে শক্তি হিসেবে                       নিলে নতুনভাবে সফল হওয়া যায়। ইচ্ছাশক্তি, স্রষ্টার অনুগ্রহ এবং চেষ্টায় সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে সফলতা সহজে ধরা দেয়। পৃথিবী অনেক প্রতিযোগিতাপূর্ণ, সে নিজে থেকে কাউকে জায়গা দেয় না, চেষ্টা ও পরিশ্রম দ্বারা নিজের জায়গা করে নিতে হয়। আর আমার পরবর্তী ইচ্ছা এই যে, আমি সেই সব ছেলে-মেয়েদের জন্য কিছু করতে চাই।

    যাদের প্রবল ইচ্ছা ও চেষ্টা থাকা সত্ত্বেও সামাজিক, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য বাধার কারণে পিছিয়ে পড়ে থাকে। তাছাড়া পরিবার, দেশমাতৃকা আমাকে যে অকৃপণ দানে ঋণী করেছে। নিজের জীবন উৎসর্গ করে হলেও তাদের কিছুটা ঋণ শোধ করতে চাই। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন,                 আমি যেন আগের সফলতার ন্যায় তা সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারি।

    তথ্যসূত্রঃ জাগো নিউজ ( ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯)

    নিয়োগ পরীক্ষার ফ্রি সাজেশন পেতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।

    https://www.facebook.com/groups/780572335479000/

    Post Views: ৩৮১

    Share this:

    • Click to share on Facebook (Opens in new window) Facebook
    • Click to share on X (Opens in new window) X
    এবার সংসারী হয়েও গুগলে চান্স পেলেন নর্থসাউথের ছাত্রী

    বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মোহাম্মদ সামিউল আলম গুগলে চান্স পাওয়ার পর চলে গিয়েছিলেন... আরো পড়ুন

    কুরআনের ১০০টি খুব মূল্যবান উপদেশ বাণী  

    কুরআনের ১০০টি উপদেশ বাণী ১। তোমরা সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশিয়ে দিও... আরো পড়ুন

    জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ডাবল বিসিএস ক্যাডার, এবার পররাষ্ট্রে

    মো. আল আমিন সরকার। চট্টগ্রাম কলেজের এই ডাবল বিসিএস ক্যাডার হয়েছেন।... আরো পড়ুন

    বিসিএস ক্যাডার এক পুলিশ দম্পতির গল্প

    তাদের প্রথম দেখা হয়েছিল দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। ৩৩তম... আরো পড়ুন

    গুগলের চাকরি সেই ছেলে সিঙ্গারা বেচে ছেলেটি এখন কোটিপতি!

    গুগলে চাকরি করতেন মুনাফ। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন স্বাধীনচেতা। বেশি বেতনে... আরো পড়ুন

    চাকরিতে সফল হতে প্রয়োজন গোছালো প্রস্তুতি

    বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) ২ হাজার ৫২টি শূন্যপদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ... আরো পড়ুন

    সর্বাধিক পঠিত সর্বশেষ পাওয়া
  • ইনশাআল্লাহ এই ৫০টি বাগধারা থেকে ১মার্ক কমন পড়ার সম্ভাবনা অনেক।
  • সমাসের শর্ট টেকনিকসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন । চাকরির প্রস্তুতি।
  • যেভাবে সাব-ইন্সপেক্টর বা SI হবেন।
  • অডিটর ও জুনিয়র অডিটর পদের প্রশ্ন পদ্ধতি, মান বণ্টন এবং প্রস্তুতি জানুন:
  • মুদ্রা মনে থাকবে আজীবন : চাকরীর পরীক্ষায় ১মার্ক আসে
  • SSC পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ডাউনলোড করুন।
  • বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস থেকে বাছাইকৃত কমনোপযোগী প্রশ্ন।
  • NTRCA ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার্থীদের জন্য
  • ২২ তম বিসিএস প্রশ্ন সমাধান BCS Question Answer
  • ৪২ তম বিসিএস প্রশ্ন সমাধান | 42th BCS Question Answer
  • বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস মানে কি | বিসিএস ক্যাডার সংখ্যা কতটি
  • MPO ভুক্ত হবার জন্য যেসব ডকুমেন্টস প্রয়োজন।
  • 16th NTRCA Question Solution College
  • 16th NTRCA Question Solution School 2
  • বিসিএস পরীক্ষার যোগ্যতা কি ( শিক্ষাগত, শারিরীক, নাগরিকত্ব, বয়সসীমা)
  • 17th NTRCA Question Solution College
  • ফেসবুক পেজ

    Sadik Sir

    Ads

    যোগাযোগ

    Sadik Sir

    ঠিকানা : সরকারি কলেজ রোড , চুয়াডাঙ্গা , ৭২০০
    হটলাইন নাম্বার : ০১৩০৫-৭৫৪০০২, ০১৭৯৫-২৯২২২৭
    ইমেইল করুন : umrsadik@gmail.com

    • ফেসবুক
    • ইউটিউব
    error: Content is protected !!