আজ বুধবার ২০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স করেছি। চাকরির ভাইভা দিতে গিয়ে নানা অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি। সবগুলো চাকরির ভাইভা হয়েছিল কাছাকাছি সময়ে, ২০১১ সালের মে, জুন, জুলাইয়ে। ► জীবনের প্রথম ভাইভা দিই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে। অনার্স পাস করেই এই নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলাম। ভাইভা বোর্ডে প্রথম প্রশ্নটি ছিল, ‘আপনার নাম কী? পিতার নাম কী?’ উত্তর দেওয়ার পরই প্রশ্ন করা হয়, ‘আপনার পিতা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি কোন সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন?’ আমি বলি, ‘১১ নম্বর সেক্টরে।’ ‘আপনার এলাকার একজন বিখ্যাত ব্যক্তির নাম বলুন।’ বললাম, ‘বেগম মতিয়া চৌধুরী।’ এর পরই জিজ্ঞেস করা হয়—তিনি কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছেন? আমি উত্তর দিই তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী (২০১১ সালে)। এরপর প্রশ্নকর্তা বলেন, ‘আপনার দাখিলকৃত কাগজপত্র অনুযায়ী আপনি সদ্য
অনার্স পাস করেছেন। আপনি কি এই চাকরি পেলে করবেন?’ বললাম, ‘অবশ্যই করব।’ একই সময় ভাইভা বোর্ডের আরেক সদস্য বলেন, ‘সে দিন আনে, দিন খায়’-এর ইংরেজি কী হবে? আমি চট করেই বলি— ‘he hands to mouth.’ ► দ্বিতীয় ভাইভা দিই ‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে’ (বর্তমানে এ প্রকল্পের নাম ‘আমার বাড়ি আমার খামার’) উপজেলা সমন্বয়কারী পদে। এই ভাইভায় কয়েকটি কমন প্রশ্ন করার পর ‘বঙ্গবন্ধু’ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এরপর জিজ্ঞেস করা হয়,
‘এই চাকরির কার্যপরিধি সম্পর্কে কতটুকু জানেন, বলুন।’ আমি এই প্রকল্পের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কার্যপ্রাণালী সম্পর্কে বিস্তারিত বলি। এরপর হিসাববিজ্ঞানের ওপর কয়েকটি প্রশ্ন করা হয়। সবগুলোর উত্তর দিই। ► তৃতীয় ভাইভা দিই জনতা ব্যাংকের ‘অফিসার’ পদে। এই ভাইভায় জিজ্ঞেস করা হয়, ‘আপনি কি এর আগে কোনো চাকরি করেছেন?’ উত্তরে বলি, ‘কোনো স্থায়ী চাকরি করা হয়নি। কারণ আমি যে কয়টি চাকরির ভাইভা দিয়েছি, সব কয়টির ভাইভা কয়েক দিনের ব্যবধানে হয়েছে (অর্থাৎ
চূড়ান্ত ফল ওই সময় প্রকাশ হয়নি)। তবে সরকারি কিছু প্রকল্পে কাজ করেছি। এ সময় জানতে চাওয়া হয়, ‘আপনি কোন কোন প্রকল্পে কাজ করেছেন?’ আমি উত্তর দিই, ‘অনার্স পড়াশোনার সময় আর্সেনিক পরীক্ষাকরণ প্রকল্প, আদমশুমারি, কৃষিশুমারি, পিকেএসএফের ঊহত্রপয (সমৃদ্ধি) এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোতে কাজ করেছি। বোর্ডের অন্য এক সদস্য জানতে চান, ‘আপনি অ্যাকাউন্টিংয়ে অনার্স করেছেন; বলুন তো জনতা ব্যাংকের আয়ের প্রধান উৎস কী?’ সংক্ষেপে বলি, ‘গ্রাহকের
আমানত।’ এরপর ‘সম্পদ’ ও ‘দায়’ সম্পর্কে সংক্ষেপে বলতে বলা হয়। ঠিকঠাক উত্তর দিই। ► আমার সব শেষ ভাইভা ছিল কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি লিমিটেডের (পেট্রোবাংলার অঙ্গপ্রতিষ্ঠান) ‘সহকারী ব্যবস্থাপক’ পদে। এই ভাইভায় হিসাববিজ্ঞানের ওপর খুঁটিনাটি বেশ কিছু প্রশ্ন করা হয়। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের ওপর কিছু প্রশ্ন হয়। শেষ প্রশ্ন ছিল, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সাতজন বীরশ্রেষ্ঠর নাম ও পদবি বলুন।’ মুক্তিযুদ্ধের ওপর আমার পড়াশোনা ও আগ্রহ একটু বেশি ছিল। তাই এক
দমেই সাতজন বীরশ্রেষ্ঠর নাম ও পদবি বলে দিয়েছি। আমি যে চারটি সরকারি চাকরির ভাইভা দিয়েছি, সব কয়টি চাকরিই পেয়েছি। এরপর আর কোনো সরকারি চাকরিতে আবেদনই করিনি। নতুন প্রার্থীদের উদ্দেশে বলব, আত্মবিশ্বাস নিয়ে ভাইভা বোর্ডের উত্তর দিন। অনেকে সঠিক উত্তরটিও এমনভাবে দেন, যেন মনে হয় তিনিও (প্রার্থী) এ উত্তরের ব্যাপারে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন! এমনটি করবেন না, আবার প্রশ্ন না বুঝে ভুল উত্তরও দেবেন না। যতটা সম্ভব নিজেকে স্মার্টভাবে উপস্থাপন করুন।
তথ্যসূত্রঃ কালের কন্ঠ
নিয়োগ পরীক্ষার ফ্রি সাজেশন পেতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।
জন্ম ও স্কুল জীবনঃ যুক্তরাষ্ট্র শহরের সিয়াটল শহর। এই শহরেই ২৮... আরো পড়ুন
নিজের প্রতি অবিচল আস্থা আর বাবা-মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে পথচলা শুরু তার।... আরো পড়ুন
* মাত্র ৫ বছর বয়সে তিনি বাবাকে হারান * ১৬ বছর... আরো পড়ুন
১. জীবন মানেই পরীক্ষা হতাশার অন্ধাকারে ডুবে থাকা মানুষের মনে একটি... আরো পড়ুন
ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের শিক্ষার্থী রহিমা সুলতানা। তিন ভাই ছয় বোনের... আরো পড়ুন
বর্তমানে চাকরি বদলানোর ঘটনা অনেক বেড়ে গেছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, এমনটা... আরো পড়ুন