আজ বুধবার ১৬ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৩রা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মোছা. সাবিনা ইয়াসমিন ৩৩তম BCS উত্তীর্ণ হয়ে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে কর্মরত। পিতা মো. আ. সালাম মোল্লা, মা রোকেয়া বেগম। তিনি মাগুরার মোহাম্মদপুরের পলাশবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে BCS, যশোরের ডা. আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজ থেকে HSC, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাত*কোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। সম্প্রতি তার BCS জয়, ভবিষ্যৎ স্বপ্ন ও সফলতার গল্প শুনিয়েছেন .
*ছোটবেলা কেমন কেটেছে?
সাবিনা ইয়াসমিন: খোলা আকাশে উড়ন্ত পাখির মতো শৈশব কেটেছে আমার। কাঁচা-পাকা বাড়ি, বাড়ির সামনে ছোট্ট খাল, খালের ওপারে সবুজ মাঠ। এরকম ছবির মতো গ্রামীণ পরিবেশে বেড়ে ওঠা আমার।
*পড়াশোনায় কোনো প্রতিবন্ধকতা ছিল কি?
সাবিনা ইয়াসমিন: পড়ালেখায় কোনো প্রতিবন্ধ*কতা ছিল না। পরিবারের সহযোগিতায় আমার Academic জীবন অনেকটা মসৃণ ছিল বলা যায়।
*বিসিএসের স্বপ্ন দেখেছিলেন কখন থেকে?
সাবিনা ইয়াসমিন: আসলে BCS Cadre হতে হবে, এমন স্বপ্ন প্রথমদিকে এমনকি মাস্টার্সের রেজাল্ট দেওয়ার আগ পর্যন্ত আমার ছিল না। তবে পরবর্তীতে মাস্টার্স রেজাল্ট দেওয়ার পর বিসিএস আমার স্বপ্ন, ধ্যান-জ্ঞানে পরিণত হয়।
বিসিএস যাত্রার গল্প শুনতে চাই—
সাবিনা ইয়াসমিন: bcs যাত্রার গল্প আমার জন্য খুব একটা সুখকর নয়। প্রায় ৮০% শিক্ষার্থী অনার্স প্রথম বা দ্বিতীয় বর্ষ থেকে বিসিএসের প্রস্তুতি নিতে থাকে। সেখানে আমি Masters রেজাল্টের পর প্রস্তুতি নিতে শুরু করি। বিষয়টি আমার জন্য খুব সহজ ছিল না। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করবো এমন পরিকল্পনা ছিল প্রথম বর্ষ থেকে। অনার্সে প্রথম শ্রেণিতে তৃতীয় স্থান অধিকার করি। ফলে কিছুটা সম্ভাবনাও তৈরি হয়। ফলে একাডেমিক পড়া’লেখায় সিরিয়াস হওয়ায় বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি। কিন্তু মাস্টার্সের রেজাল্ট আশানুরূপ হলো না। বেশ হতাশ হলাম। ভাগ্য আমার অনুকূলে ছিল না।
প্রথম শ্রেণি পেলেও পজিশন পিছিয়ে অষ্টম হয়ে যায়। ফলে হতাশ হয়ে পড়লাম। কিন্তু আমার পরিবারের যাদের অনুপ্রেরণা বরাবরই আমাকে সাহস জুগিয়েছে, বিশেষ করে আমার ভাই (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী) বর্তমানে ব্যাংকার। তিনি আমাকে BCS পরীক্ষা দেওয়ার জন্য আগ্রহী করে তুললেন। বিসিএস প্রস্তুতির বই কেনার জন্য টাকা দিয়ে নীলক্ষেত পাঠিয়ে দিলেন। সেই নীলক্ষেত যাত্রা থেকেই শুরু হলো আমার বিসিএস যাত্রা।
*কারো কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন কি?
সাবিনা ইয়াসমিন: আমার পরিবার আমার সব প্রেরণার উৎস। পরিবারের ছোট থেকে বড় সবাই আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে।
*একজন শিক্ষক হিসেবে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?
সাবিনা ইয়াসমিন: ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বলতে যেহেতু শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত আছি; সে ক্ষেত্রে এমফিল, Phd ডিগ্রি অর্জন করার ইচ্ছা আছে।
নিয়োগ পরীক্ষার ফ্রি সাজেশন পেতে এই গ্রুপে জয়েন করুন।
https://www.facebook.com/groups/780572335479000/
তথ্যসূত্রঃ জাগো নিউজ ২৪
মানুষের অভ্যাসই মূল চরিত্র কিংবা মৌলিকতা। অভ্যাস বদলে গেলে মানুষ বদলে... আরো পড়ুন
ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের শিক্ষার্থী রহিমা সুলতানা। তিন ভাই ছয় বোনের... আরো পড়ুন
উন্নত জীবন গড়ার স্বপ্ন নিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য লন্ডন গিয়েছিলেন। পড়াশোনা... আরো পড়ুন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনার্স ও... আরো পড়ুন
গুগলে চাকরি করতেন মুনাফ। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন স্বাধীনচেতা। বেশি বেতনে... আরো পড়ুন
প্রিন্সেস নয় কিং হবার গল্প শোনালেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের সহকারী... আরো পড়ুন