আজ বৃহস্পতিবার ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মাঝে মাঝে এক-একটা এমন দিন আসে, যেদিন চুলে চিরুনি চালাতেও ইচ্ছে করে না। কারণ আর কিছুই নয়, চিরুনির মধ্যে এমনভাবে গোছা গোছা চুল উঠে আসতে আরম্ভ করে যে দেখলে ভয়ানক মন খারাপ হয়ে যায়! চুল কেন পড়ছে, তার কারণটা আগে খুঁজে বের করুন। একমাত্র তা হলেই কাজ দেবে চিকিৎসা। যদি পুষ্টির অভাবে চুল পড়তে আরম্ভ করে, তা হলে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি দারুণ কাজে দেয় কিন্তু! যতদিন না আগের স্বাস্থ্য ফিরে আসছে ততদিন ভালো কোনও হেয়ারস্টাইলিস্টের সাহায্য নিন, তিনি এমনভাবে চুল কাটবেন যে তার অভাবটা টেরই পাবেন না!
চুল পড়ার কারণ খুঁজে বের করুন সবার আগে
আপনার চুল আর ত্বকের স্বাস্থ্যের উপর জিনের গভীর প্রভাব আছে। পুরুষদের ক্ষেত্রে চুল পড়ার হারটা অনেক ক্ষেত্রেই বংশানুক্রমিক হয়। বিরল ক্ষেত্রে মহিলারাও এই সমস্যার শিকার হন। সেক্ষেত্রে খুব বেশি কিছু করার থাকে না, উইগ বা হেয়ার উইভিংয়ের সাহায্য নিয়ে অবশ্য দেখতে পারেন। অ্যালোপেশিয়া এরিয়াটার মতো অটোইমিউন ডিসঅর্ডার থাকলে ডাক্তারের পরামর্শমতো চিকিৎসা করালে তবেই কাজ হবে। থাইরয়েডের সমস্যা থাকলেও চুল পড়ে যায়। তবে সমস্যা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার পর যদি যত্নআত্তি ঠিকমতো করেন, তা হলে চুলের পুরোনো স্বাস্থ্য ফিরে আসতে পারে। সোরিয়াসিস বা ক্রনিক পেট খারাপের সমস্যা থাকলেও কিন্তু চুল পড়তে আরম্ভ করে। সেই সঙ্গে বিশেষ নজর দিতে হবে খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারেও, অপুষ্টিতে ভুগলে কোনও ঘরোয়া সমাধানই কাজ করবে না।
উপরের কোনও সমস্যাতেই আপনি ভুগছেন না? তা হলে এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি ট্রাই করে দেখতে পারেন, চুলের স্বাস্থ্য ফিরবেই!
নারকেলের দুধ ও তেল: নারকেলে উপস্থিত ফ্যাটের কারণে আপনার চুল স্বাস্থ্যের আভায় ঝলমল করবে। নিয়মিত তেল দিয়ে মাসাজ করুন, তবে হালকা হাতে মালিশ করবেন। খুব জোরে ঘষলে বেশি চুল পড়ার আশঙ্কা থাকে। কোরা বা বাটা নারকেল গরমজলে ভিজিয়ে দুধ বের করে নিন, তার পর তা মাথায় লাগিয়ে আধ ঘণ্টা রাখুন। চুলের স্বাস্থ্য বাড়াতে যে প্রোটিন আর পটাশিয়াম একান্ত প্রয়োজন, তারই জোগান দেবে নারকেলের দুধ। সপ্তাহে একদিন করলেই হবে।
অ্যালো ভেরা: চুল আগে শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। তার পর একটি অ্যালো ভেরার পাতা চিরে তার মধ্যেকার শাঁসটা বের করে নিন। চুলের গায়ে তা লাগান, স্ক্যাল্পে চক্রাকারে হাত ঘুরিয়ে মালিশ করুন। একদিন অন্তর করতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়, এর ফলে চুল আর স্ক্যাল্পের পিএইচ ব্যালান্সে সমতা ফেরে, তাতে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। যাঁদের সরাসরি শাঁসটা সহ্য হয় না, তাঁরা তা ফুটিয়ে নিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।
দই, মধু, লেবুর রসের প্যাক: চুলের হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা ফিরিয়ে আনতে এবং ভিটামিন বি ও প্রোটিনের জোগান বাড়াতে দই, লেবু, মধুর প্যাক আদর্শ। সপ্তাহে একবার শ্যাম্পু করার আগে লাগিয়ে রাখুন, শুকিয়ে গেলে চুল ধুয়ে নেবেন।
মেথি: সারা রাত মেথি ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিন। এটা সরাসরি চুলে লাগাতে পারেন প্যাকের মতো, দই-মধুর সঙ্গে মিশিয়েও লাগানো সম্ভব। শুকনো হয়ে গেলে ভালো করে ধুয়ে শ্যাম্পু করে নিন। মেথি চুলের বৃদ্ধির জন্য আবশ্যক।
নিমপাতার নির্যাস: এক মুঠো নিমপাতা খুব ভালো করে ফুটিয়ে নিন এক লিটার জলে। মিশ্রণটা ঠান্ডা করে বোতলে ভরে রেখে দিন। সপ্তাহে অন্তত একবার শ্যাম্পু করার পর এই নিমের জলে চুল ধুয়ে নিন। স্ক্যাল্পে কোনওরকম ইনফেকশন বা খুশকির সমস্যা থাকলে নিমের প্রভাবে তা থেকে মুক্তি পাবেন। ফলে চুলের বৃদ্ধির হার বজায় থাকবে।
কক্সবাজারের টেকনাফে ছোট পঙ্গপালের মত পোকার আক্রমণে বসতভিটার গাছপালা ও বাগানের... আরো পড়ুন
করোনাভাইরাসের বিস্তার এবং প্রাণহানি নিয়ে বিশ্বজুড়ে বেড়েই চলেছে। বিশ্বজুড়ে এ পর্যন্ত... আরো পড়ুন
বাংলাদেশের ১ নং সরকারি সার্ভিস হচ্ছে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস(বিসিএস)। সিভিল সার্ভিসের... আরো পড়ুন
১. আজ থেকে পাঁচ বছর পর আপনি কোথায় যাবেন তা নির্ভর... আরো পড়ুন
ইদানীং বিসিএস পরীক্ষা একটি জোরালো আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। চাকরির সন্ধানে... আরো পড়ুন
ভর্তি পরীক্ষার জন্য এই বইগুলো পড়লে একবারে চান্স পাওয়া সম্ভব.. ১.... আরো পড়ুন