আজ বুধবার ১৬ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ৩রা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
দেশে বর্তমানে বীরদের তালিকায় পুলিশ প্রথম সারিতে আছে। কেন বীর? পুলিশ অবশ্যই বীর পড়ুন বিস্তারিত।
এতদিন যাদেরকে নিয়ে ঘুষ খোর দুর্নীতিবাজ ইত্যাদি আখ্যায়িত মিথ্যা আখ্যা দিয়েছি। করোনা ভাইরাসের মহামারীতে তাদের খোজ নিয়েছি? বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭১ ও ২০২০ ভুলবার নয় । ৭১ এ যুদ্ধ শত্রুকে দেখা যেত। আর ২০২০ তে যুদ্ধ হচ্ছে অদৃশ্য কোভিড-১৯ , নভেল করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে। আর এই যুদ্ধের সম্মুখ যোদ্ধারা হচ্ছে পুলিশ। আর যুদ্ধে আহতদের সারিয়ে তুলতে ব্যাস্ত আরেক যোদ্ধাদল ডাক্তার। ডাক্তারদের নিয়ে আরেকটি লেখা আছে। তাই এই লেখাটি পুলিশদের ত্যাগ ও কর্ম নিয়ে।
মানুষ সামাজিক জীব । কথাটি সবাই শুনেছি। সবার পরিবার আছে। সবাই পরিবার নিয়ে সুচিন্তা করেন। এটাই স্বাভাবিক। তাই লকডাউন মেনে অধিকাংশ মানুষ নিজের পরিবারকে নিরাপত্তা দিচ্ছেন।
এবার আসি সেই সকল অসচেতন মানুষদের কথায় যারা লকডাউনটাকে উপেক্ষা করে বাহিরে বের হয়ে আড্ডা দিচ্ছে। আবার দরিদ্র জনগোষ্ঠী অভুক্ত থাকার কারণে লকডাউন ভেঙ্গে বাহিরে বের হচ্ছে। আর এতে পুলিশ পড়ছে চরম বিপদে। কত বোঝাবে আর কত সামলাবে?
কাকে নিয়ে ভাববে পুলিশ?
নিজের নিরাপত্তার কথা?
পরিবারের নিরাপত্তার কথা?
জনগনের নিরাপত্তার কথা?
নাকি চাল চোরদের কথা?
নাকি করোনা রোগী পালিয়ে গেল তার কথা?
নাকি করোনায় মৃত লাশ দাফনের কথা?
ইত্যাদি ইত্যাদি।
ভাবুনতো আপনার পরিবারের একজন সদস্য পুলিশ । বাহিরে রাতদিন থেকে ডিউটি দিচ্ছে। আপনি কতটা আতঙ্কিত হবেন? হয়ত মুখ ফুটে বলবেননা। চাইবেন মানুষটি ভাল থাকুক।
পুলিশদের নেই পিপিই, নেই এন-৯৫ মাস্ক, নেই সেফটি ওয়ালে ডিউটি। আছে লাঠি আর বন্ধুক এগুলো দিয়ে কি ভাইরাস মারা যায়? যায়না।
দুঃখের বিষয় লকডাউনে পুলিশ আসতেছে কিনা এনিয়ে উকি দিয়ে পাহারা দিচ্ছে অবুঝ মানুষগুলো। পুলিশদের কাজ ও যন্ত্রণা দুটোই বাড়িয়ে দিচ্ছে অবুঝ জনগণ।
মাঠ পর্যায়ে পুলিশ ডিউটি দিচ্ছে, পুলিশ খাবার দিচ্ছে, বের করে দেয়া ভাড়াটিয়াকে ঘরে তুলে দিচ্ছে, চাল চোরদের গ্রেফতার করেছে, লকডাউনে থাকা মানুষদের নিজেরাই গান গেয়ে শোনাচ্ছে, লাশ দাফন করছে। এগুলো প্রশংসার দাবীদারতো বটেই সেই সাথে পুরস্কার পাবার যোগ্য । চিকিৎসায় ও শান্তিতে যদি নোবেল পুরস্কার থাকে তবে সততা ও সুরক্ষার জন্য নাই দুঃখজনক । ইতিমধ্যে অনেক পুলিশ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
কর্মস্হলে সবারই কম বেশী মনে পড়ে পরিবারের কথা।অনেকেই কর্মস্হল থেকে ছুটির পর পরিবারের বড় ও ছোট সদস্যদের জন্য সামর্থ্যের মধ্যে জিনিস নিতে পছন্দ করে।অধিকাংশ অফিস ছুটি। পুলিশদের ছুটি নেই তারা প্রিয় জিনিস নেওয়া তো দুরের কথা এই চিন্তায় অস্হির যে তারা সুস্হ শরীর নিয়ে ফিরতে পারছে কিনা? বোঝেনই তো একটা দিয়াশলাইয়ের কাঠি একটি বন পোড়াতে যথেষ্ঠ। তেমনি একজন করোনা রোগী একটি বাড়ির সকল সদস্যদের অনিচ্ছাকৃতভাবে হলেও আক্রান্ত করতে যথেষ্ঠ(আল্লাহ যেন না করেন)।
বাংলাদেশ পুলিশ তাদের ইমেজ ফিরাতে অনেকটা সক্ষম হয়েছে। তবে তা ধরে রাখতে হবে। এবং জনগণকে নিজের দায়িত্ব মেনে চলতে হবে। এবং পুলিশকেও ভাবতে হবে যে তাদেরও পরিবার আছে।
এই আর্টিকেলটি লিখেছেন:-
মোঃ সাদিকুল ইসলাম
প্রভাষক (ইংরেজী)
চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রী কলেজ, চুয়াডাঙ্গা
জার্মানি এবং ব্রিটেন মানুষের ওপর করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পরীক্ষার ইতিমধ্যেই সম্মতি দিয়েছে।... আরো পড়ুন
BCS ক্যাডার যেন এক স্বপ্নের নাম। বিসিএস ক্যাডার হতে চাননা এমন... আরো পড়ুন
ইদানীং বিসিএস পরীক্ষা একটি জোরালো আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে। চাকরির সন্ধানে... আরো পড়ুন
পদার্থ বিজ্ঞানের ১৩৮ টি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তরঃ 1) পৃথিবী ঘূর্ণায়নের ফলে... আরো পড়ুন
ইংরেজিতে যারা দুর্বল তাদের জন্য এই পোস্টটি অনেক কার্যকর। ১টি প্যারাগ্রাফ... আরো পড়ুন