ডাক অধিদপ্তরের ভাইভা অভিজ্ঞতা
পদের নাম: **মেইল অপারেটর**, ডাক অধিদপ্তর
বোর্ডে অবস্থানকাল: ৫ – ৬ মিনিট
প্রার্থীর নাম: রাসেল মাহবুব
প্রার্থী: (বেল বাজার সাথেই দরজা খুলে বললাম) আসতে পারি, স্যার?
প্রার্থী: চেয়ারের কাছে গিয়ে আসসালামু আলাইকুম বলে দাঁড়িয়ে থাকলাম।
বোর্ড: সালামের উত্তর দিয়ে বসতে বললেন।
প্রার্থী: ধন্যবাদ দিয়ে বসলাম।
প্রার্থী: আমার নাম রাসেল মাহবুব।
প্রার্থী: আমার বাড়ি বগুড়া।
বোর্ড: আপনি কোন সাবজেক্টে কোথায় লেখাপড়া করেছেন?
প্রার্থী: আমি সরকারি আজিজুল হক কলেজ, বগুড়া থেকে উদ্ভিদবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছি।
বোর্ড: সুন্দরবনকে ম্যানগ্রোভ বন বলা হয় কেন?
প্রার্থী: লোনা পানি বা কাদার মধ্যে জেগে থাকা খুঁটির মতো এক ধরনের শ্বাস গ্রহণকারী শিকড়বিশিষ্ট উদ্ভিদের অরণ্যকে ম্যানগ্রোভ বন বলে। সুন্দরবনে এই ধরনের উদ্ভিদ খুব বেশি পরিমাণে জন্মায় বলে সুন্দরবনকে ম্যানগ্রোভ বন বলা হয়।
বোর্ড: সব উপকূলীয় বনকে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল বলা যাবে?
প্রার্থী: না, স্যার। লবণাক্ততা কাটানোর শক্তি, অক্সিজেনের জন্য শ্বাসমূল, জরায়ুজ অঙ্কুরোদগম ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য না থাকলে উপকূলীয় বনকে ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল বলা যাবে না।
বোর্ড: শ্বসনের সময় উদ্ভিদ বায়ুমন্ডলে কী নিঃসরণ করে?
প্রার্থী: শ্বসনের সময় উদ্ভিদ বায়ুমন্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ করে।
বোর্ড: গ্রিন হাউজ গ্যাস কী? এটা কীভাবে কাজ করে?
প্রার্থী: বায়ুমন্ডলের যে সকল গ্যাস তাপীয় অবলোহিত সীমার মধ্যে বিকিরিত শক্তি শোষণ ও নির্গত করে তাকে গ্রিনহাউস গ্যাস বলে। যেমন- কার্বন ডাই অক্সাইড, ওজন, মিথেন ইত্যাদি। ভূপৃষ্ঠ হতে বিকীর্ণ তাপ বায়ুমন্ডলীয় গ্রিন হাউজ গ্যাসসমূহ দ্বারা শোষিত হয়ে পুনরায় বায়ুমন্ডলের অভ্যন্তরে বিকিরিত হয়। এই বিকীর্ণ তাপ বায়ুমন্ডলের নিম্নস্তরে ফিরে এসে ভূপৃষ্ঠের তথা বায়ুমন্ডলের গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে।
বোর্ড: স্বভোজী ও পরজীবী কী?
প্রার্থী: যে সকল উদ্ভিদ নিজের খাদ্য নিজেই তৈরি করতে পারে এবং খাদ্যের জন্য অন্য কোনো উদ্ভিদ বা প্রাণির উপর নির্ভর করে না তাদের স্বভোজী বলে। যে সকল উদ্ভিদ নিজের খাদ্য নিজে তৈরি করতে পারে না এবং খাদ্যের জন্য অন্য উদ্ভিদ বা প্রাণির উপর নির্ভর করে তাকে পরভোজী বলে।
বোর্ড: পরজীবীরা কেন খাদ্য উৎপাদন করতে পারে না?
প্রার্থী: পরভোজীদের দেহে ক্লোরোফিল না থাকার কারণে তারা খাদ্য উৎপাদন ও সংশ্লেষ করতে পারে না। তাই এদের পুষ্টির জন্য অন্য কোনো স্বভোজী জীব কিংবা মৃত জৈব বস্তুর অপর নির্ভর করতে হয়।
প্রার্থী: উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষের মাধ্যমে জটিল শর্করা জাতীয় খাদ্য যেমন- গ্লুকোজ (C6H12O6) তৈরি করে এবং খায়।
বোর্ড: কিছু কিছু উদ্ভিদ শিকারী। এরা কেন শিকার করে? এদের কী মাংসাশী বলা হয়?
প্রার্থী: দুঃখিত, স্যার। এই ব্যাপারে আমার জানা নেই। (সঠিক উত্তর: সাধারণত ভেজা ও স্যাঁতস্যাঁতে নিচু জলাভূমিতে শিকারি উদ্ভিদ জন্মে। কিন্তু আর্দ্র মাটিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ খুব অল্প থাকে। ফলে শিকারি উদ্ভিদগুলো অন্য একটি পদ্ধতিতে নাইট্রোজেন সংগ্রহ করে থাকে। তাঁরা বিভিন্ন প্রাণীকে ফাঁদে আটকে ফেলে এসব প্রাণী মারা যাওয়ার পর তাঁদের মৃতদেহ থেকে খাদ্য তৈরির প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান সংগ্রহ করে। এদের মাংসাশী উদ্ভিদ বলা হয়। যেমন- কলসি উদ্ভিদ, সূর্য শিশির উদ্ভিদ ইত্যাদি।
বোর্ড: ভালো উত্তর দিয়েছেন। আরও ভালো কোথাও ট্রাই করবেন। ঠিক আছে, এবার আসেন।
প্রার্থী: ধন্যবাদ ও সালাম দিয়ে প্রস্থান