আজ শুক্রবার ১২ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ২৮শে ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
⇒ মাত্র ১২ বছর বয়সে যোগ দেন গ্রামের লেটোর গানের দলে।
⇒ তার সাহিত্য জীবনের সূচনা হয় লেটোর গানের দলের সাথেই।
⇒ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে তিনি একজন বিদ্রোহী কবি এবং আধুনিক বাংলা জগতে বুলবুল নামে খ্যাত।
⇒ ১৯১০ সালে নজরুল ছাত্রজীবনে ফিরে যান।
⇒ ১৯১৪ সালে ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশালের দরিরামপুর স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। এক বছর পর তিনি পুনরায় নিজের গ্রামে ফিরে যান এবং ১৯১৫ সালে আবার রানীগঞ্জ সিয়ারসোল রাজস্কুলে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হন। এ স্কুলে নজরুল ১৯১৫-১৭ সালে একটানা অষ্টম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করেন।
⇒ ১৯১৯ সালে বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি নবম শ্রেণীতে ছিলেন। যুদ্ধের কারণে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সম্পন্ন করতে পারেনি। পরবর্তীতে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন।
⇒ ১৯১৭-২০ সাল নজরুলের সামরিক জীবনের পরিধি ছিল।
কাজীর শিমলা, ত্রিশালঃ কাজী রফিজ উল্লাহ্ দারোগা ১৯১৪ সালে আসানসোলের রুটির দোকান থেকে কিশোর কবি নজরুলকে ত্রিশালে কাজীর শিমলায় নিজ গ্রামে নিয়ে আসেন। কবি নজরুলকে ভর্তি করে দেন ত্রিশাল উপজেলা সদরের দরিরামপুর স্কুলে (বর্তমান নজরুল একাডেমী) সপ্তম শ্রেণীতে। কবি নজরুলের সেই বাল্য স্মৃতিকে ধরে রাখতে এই গ্রামেরই বটতলা নামক স্থানে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়।
দৌলতপুরঃ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ও তার স্ত্রী নার্গিস এর স্মৃতি বিজড়িত স্থান দৌলতপুর। ১৯২১ সালে (বাংলা ২৩ চৈত্র ১৩২৭) নজরুল ইসলাম বন্ধু আলী আকবর খানের বাড়ি কুমিল্লা মুরাদনগরের দৌলতপুরে আসেন এবং ৭১ দিন অবস্থান করেন । আলী আকবর খানের বোনের মেয়ে সৈয়দা খাতুন ওরফে নার্গিস এই বাড়িতে থাকতেন। সেই সুবাদে কবির সাথে তার সখ্য গড়ে উঠে।
কার্পাসডাঙ্গাঃ চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দুরের ভৈরব নদীর তীরে কবির স্মৃতিঘেরা কার্পাসডাঙ্গা। ১৯২৬ সালে বিপ্লবী হেমন্ত কুমার ও মহিম সরকারের আমন্ত্রণে কবি কাজী নজরুল ইসলাম কলকাতার আমহার্ষ্ট স্ট্রীট থেকে স্বপরিবারে এই কার্পাসডাঙ্গায় আসেন এবং টানা দুই মাস অবস্থান করেন।
১৯২০ সালের পর থেকে শুরু হয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের একনিষ্ঠ কাব্য চর্চা। তার লেখা বসুমতি,মুসলিম ভারত, মাসিক প্রবাসী, বিজলী, ধুমকেতু প্রভৃতি বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছাপা হতে থাকে।
মাত্র ২২ বছর বয়সে ১৯২১ সালে তিনি বিদ্রোহী নামে একটি কবিতা লেখেন যার কারণে আজও থাকে বিদ্রোহী কবি বলে অমর করে রেখেছে।
নজরুলের প্রেম ও প্রকৃতির কবিতার প্রথম সংকলন দোলন-চাঁপা প্রকাশিত হয় ১৯২৩ সালের অক্টোবরে।
নজরুলের গান ও কবিতা সংকলন বিষের বাঁশী এবং একই মাসে ভাঙ্গার গান প্রকাশিত হয় ১৯২৪ সালের ১০ আগস্ট।
কাব্যগ্রন্থ মোট ২২ টি।
বিদ্রোহী প্রধান কাব্যঃ
অগ্নিবীণা(১৯২২)
বিষের বাঁশি(১৯২৪)
ভাঙ্গার গান(১৯২৪)
সাম্যবাদী(১৯২৫)
সর্বহারা(১৯২৬)
ফণিমণসা (১৯২৭)
জিঞ্জির(১৯২৮)
সন্ধ্যা (১৯২৯)
প্রলয়শিখা(১৯৩০)
দোলনচাঁপা(১৯২৩)
ছায়ানট(১৯২৪)
পূর্বের হাওয়া (১৯২৫)
সিন্ধু-হিন্দোল(১৯২৭)
চক্রবাক (১৯২৯)
শেষ সওগাত(১৯৫৮)
ঝিঙেফুল(১৯২৬)
সাত ভাই চম্পা
নতুন চাঁদ (১৯৪৫)
নির্ঝর (১৯৩৮)
সঞ্চিতা(১৯২৮)
জিঞ্জির(১৯২৮)
ঝড় (১৯৬০)
⇒ নজরুলের জীবদ্দশায় অপ্রকাশিত ‘ নির্ঝর’ কাব্য সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে, এতে ২৬ টি কবিতা আছে।
⇒ নজরুল ‘ আনন্দময়ীর আগমনে ‘ ও’ বিদ্রোহীর কৈফিয়ৎ ‘ কবিতার জন্য ১৯২৩ সালের ১৬
⇒ জানুয়ারি ১ বছর এবং ‘ প্রলয় শিখা ’ রচনার জন্য ৬ মাস কারাবরণ করেন।
প্রকাশিত হয়।
নজরুলের মোট ৬ টি গ্রন্থ নিষিদ্ধ হয়- ‘
অগ্নিবীণা,
বিষের বাঁশি,
ভাঙ্গার গান,
প্রলয় শিখা,
চন্দ্ৰবিন্দু,
যুগবাণী ‘।
ধূপছায়া (১৯৩১)- তিনি ছিলেন বাঙ্গালির চলচ্চিত্রকার। তার পরিচালিত এই চলচ্চিত্র ১৯৩১ সালে মুক্তি পায়।
ধ্রুব (১৯৩৪) কবি নায়ক (নারায়ণ চরিত্রে)
পাতালপুরী
গৃহদাহ, গ্রহের ফের, বিদ্যাপতি
গোরা, সাপুড়ে, নন্দিনী
খুকি ও কাঠবিড়ালি কাব্য দুটি চলচ্চিত্রে রূপান্তরিত হয়।
কাজী নজরুল ইসলামের ডাকনাম দুখু মিয়া। তিনি ধুমকেতু ছদ্মনামে লিখতেন। তিনি বিদ্রোহ কবি বলে পরিচিত। তাকে বিদ্রোহী কবি উপাধি দিয়েছেন বরীন্দ্রকুমার ঘোষ। এতে মতবিরোধ রয়েছে।আবার কেউ কেউ বলেছেন ব্রিটিশ সরকারই কাজী নজরুলকে বিদ্রোহী উপাধি দিয়েছে।
মনে রাখুন
⇒ প্রথম প্রকাশিত রচনা- ‘ বাউন্ডেলের আত্মকাহিনী’ (গল্প),
⇒ প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ- ‘ ব্যথার দান ‘ (গল্পগ্রন্থ)
⇒ প্রথম প্রকাশিত কবিতা- ‘ মুক্তি ’,
⇒ প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ- ‘ অগ্নিবীণা (১৯২২)
⇒ প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধ-‘ তুর্কি মহিলার ঘোমটা খোলা ‘,(১৯১৯)
⇒ প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধগ্রন্থ-‘ যুগবাণী ‘(১৯২২),
⇒ প্রথম প্রকাশিত নাটক- ‘ ঝিলিমিলি ’(১৯২৭)
⇒ প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস- বাঁধন হারা (পত্রোপন্যাস, ১৯২৭)
⇒ ১৯৪৫ সালে কবি কাজী নজরুলকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিনী পুরুস্কার পান।
⇒ ভারত সরকার কর্তৃক ১৯৬০ সালে পদ্মভূষণ উপাধিতে ভূষিত হয়।
⇒ ১৯৭০ সালে বিশ্বভারতী কবিকে ডিলিট উপাধিতে ভূষিত করেন।
⇒ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ সালে ডিলিট উপাধি লাভ করেন।
⇒ ১৯৭৫ সালে কবিকে একুশে পদক প্রদান করা হয়।
⇒ ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করে। তখন থেকেই তিনি বাংলাদেশের জাতীয় কবি।
১৯৪২ সালে কবি কাজী নজরুল ইসলাম দূরারোগে আক্রান্ত হন এবং চিরদিনের জন্য বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন।
১৯৭৬ সালে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ঢাকার পিজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ১৯৭৬ সালের ২৯ শে আগস্ট ৭৭ বছর বয়সে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। কবির ইচ্ছা অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিত সংলগ্ন উত্তর পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কবিকে সমাহিত করা হয়।
১. বাংলাদেশের জাতীয় কবি কে?
উত্তর: কাজী নজরুল ইসলাম।
২. কাজী নজরুল ইসলাম কত সালে এবং কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
উত্তর: তিনি জন্মগ্রহণ করেন ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দ (২৪ মে ১৮৯৯) খ্রি:) চুরুলিয়া গ্রাম, আসানসোল, বর্ধমান পশ্চিমবঙ্গ।
৩. কাজী নজরুল ইসলামের পিতা-মাতার নাম কি?
উত্তর: নজরুলের পিতার নাম, কাজী ফকির আহমেদ এবং মাতার নাম জাহেদা খাতুন।
৪. কাজী নজরুল ইসলামের দাম্পত্য সংগী কে ছিলেন?
উত্তর: নার্গিস আসার খানম এবং প্রমিলা দেবী(বিয়ের পর নজরুলের স্ত্রী আশালতা সেন গুপ্তের নাম রাখা হয় প্রমীলা)।
৫. বাংলা সাহিত্যের প্রথম বিদ্রোহী কবি কে ?
উত্তর: কাজী নজরুল ইসলাম।
৬. কাজী নজরুল ইসলামের জাতীয়তা লিখ?
উত্তর: ব্রিটিশ ভারতীয় (১৮৯৯-১৯৪৭), ভারতীয় (১৯৪৭-১৯৭৬), বাংলাদেশী (১৯৭২-১৯৭৬)।
৭. কাজী নজরুল ইসলাম মৃত্যুবরণ করেন কবে?
উত্তর: ২৯ আগষ্ট, ১৯৭৬; ১২ ভাদ্র ১৩৮৩ বঙ্গাব্দ।
৮. কত বছর বয়সে কাজী নজরুল ইসলাম বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন ?
উত্তর: চল্লিশ বছর বয়সে।
৯. সরকার কর্তৃক রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে নজরুলকে কলকাতা থেকে ঢাকায় আনয়ন করা হয় কত সালে?
উত্তর: ১৯৭২সালের ২৪মে।
১০. নজরুলকে কবে বাংলাদেশের সরকার নাগরিকত্ব প্রদান করে ?
উত্তর: ১৯৭৬সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারী ।
১১. ‘ সৈনিক কবি’ কে ?
উত্তর: কাজী নজরুল ইসলাম ।
১২. কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত লেখা কোনটি ?
উত্তর: বাউণ্ডূলের আত্নকাহিনী ।
১৩. কাজী নজরুল ইসলামের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ কোনটি ?
উত্তর: অগ্নিবীণা।
১৪. কাজী নজরুল ইসলামের ‘ অগ্নিবীণা’ কাব্যটি প্রকাশিত হয় কত সালে?
উত্তর: ১৯২২ সালে ।
১৫. কাজী নজরুল ইসলামের ‘ অগ্নিবীণা’কাব্যের প্রথম কবিতা কোনটি ?
উত্তর: প্রলয়োল্লস।
১৬. কোন কবিতা রচনার জন্য কাজী নজরুল ইসলামের ‘ অগ্নিবীণা’ কাব্য নিষিদ্ধ হয় ?
উত্তর: রক্তাম্বর ধারিণী মা ।
১৭. কাজী নজরুল কত বছর বয়সে মস্তিষ্কের ব্যাধিতে আক্রান্ত হন ?
উত্তর: ১৯৪২সালের ১০ ই অক্টোবর ৪৩বছর বয়সে ।
১৮. কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে কবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় কত সালে?
উত্তর: ১৯৭২সালের ২৪মে।
১৯. কাজী নজরুল ইসলামকে কবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডি. লিট উপাধি দেয় ?
উত্তর: ১৯৭৪ সালে।
২০. রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কবে নজরুলকে ডি. লিট উপাধি দেয় ?
উত্তর: ১৯৬৯সালে।
২১. ভারত সরকার নজরুলকে কবে পদ্মভূষণ উপাধিতে ভূষিত করেন ?
উত্তর: ১৯৬০ সালে।
২২. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কবে নজরুল ইসলামকে জগত্তারিণী পুরস্কার প্রদান করেন ?
উত্তর: ১৯৪৫সালে ।
২৩. কাজী নজরুল ইসলাম কত সালে ২১শে পদক পান ?
উত্তর: ১৯৭৬সালে।
২৪. কতসালে নজরুল স্বাধীনতা পুরস্কার পান ?
উত্তর: ১৯৭৭ সালে।
২৫. বিবিসির বাংলা বিভাগ কর্তৃক জরিপকৃত (২০০৪) সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায় নজরুলের অবস্থান কত হয়েছিল?
উত্তর: ৩য়।
ব্যতিক্রমধর্মী ১০০ টি গুরুত্বপূর্ণ বাংলা শব্দার্থ ১) সালতি– ছোট ডিঙ্গি নৌকা... আরো পড়ুন
১। বিবিসির বাংলা বিভাগ পরিচালিত জরিপে (২০০৪) সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালির তালিকায়... আরো পড়ুন
#গত ১৭ বছরে চাকরির পরীক্ষায় সবচেয়ে- বেশিবার যে বানানগুলো এসেছে, সব... আরো পড়ুন
বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় আসা ৫০টি বাগধারা একনজরে দেখে নিন- ০১-প্রশ্নঃ অন্ধকার... আরো পড়ুন
মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গ্রন্থ উপন্যাস ★একটি কালো মেয়ের কথা,,,,,,,(তারাশঙ্কর বন্দ্যােপাধ্যায় ★নিষিদ্ধ লোবান,... আরো পড়ুন
ভুল শুদ্ধ বানান মীমাংসা, মনীষী, সীমা, সীমাহীন, ইদানীং, তদানীং, সমীচীন,... আরো পড়ুন