আজ বুধবার ২০শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
যারা নতুন বিসিএস দিচ্ছে বা দিবে তাদের কিছু বিষয় clear করার জন্য । আপনি বিসিএস এর ফরম পূরণ করার সময় ৩ ভাবে চয়েস দিয়ে পূরণ করতে পারেন । শুধু জেনারাল ক্যাডার , শুধু টেকনিক্যাল ক্যাডার এবং both cadre মানে জেনারাল এবং টেকনিক্যাল একসাথে চয়েস দেয়া । কোনটাতে সুবিধা বেশি কোনটাতে সুবিধা কম এসবের উত্তর হচ্ছে আপনার পরীক্ষা ভালো হলেই আপনার জব হবার সম্ভাবনা বেশি, এর কোন বিকল্প নেই , আমি আগেও বলেছি বিসিএস এর রেজাল্ট দেয়া হয় লিখিত ৯০০ নম্বরের পরীক্ষা এবং ভাইভা ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় আপনার মোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে । তারমানে বোঝাই যাচ্ছে এখানে মেইন পরীক্ষা হচ্ছে লিখিত পরীক্ষা ।
লিখিত পরীক্ষায় যে যত বেশি নাম্বার পাবে তার ভালো করার সম্ভাবনা তত বেশি থাকবে । উদাহরণ দিই —- কেউ যদি লিখিত পরীক্ষায় ৯০০ তে ৫৮০ পায় এবং ভাইভাতে তার খারাপ হবার কারনে ২০০ তে ১০০ পেল , তারমানে তার মোট নাম্বার ৬৮০, লিখিত পরীক্ষায় কেউ ৫৩০ পেল এবং তার ভাইভা পরীক্ষা বেশ ভালো হওয়াতে সে ভাইভাতে পেল ১৪০, মানে ৭০% নাম্বার, তার মোট নাম্বার দাঁড়ালো ৫৩০+১৪০= ৬৭০, আপনিই বলুন চাকুরী কার হবে ? যার নাম্বার বেশি , মানে প্রথমজন তাইনা ?
এখন প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আসি জেনারেল ক্যাডারের মাধ্যমে একজন পরীক্ষার্থী প্রশাসন , পুলিশ, ফরেন , ট্যাক্স , কাস্টমস, অডিট, ইকনোমিক, সমবায় , ফুড, রেল এসব ক্যাডারে জব পায় , আর টেকনিক্যাল ক্যাডারে পরীক্ষার মাধ্যমে পরীক্ষার্থী তার graduation এর সাবজেক্ট related জব পায়, যেমন কৃষি অফিসার, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিভিন্ন বিষয়ের সরকারী কলেজের শিক্ষক ইত্যাদি ।
শুধু জেনারাল ক্যাডার চয়েস দিলে জেনারাল ক্যাডারে চান্স পাওয়ার মত যদি তার সর্বমোট নাম্বার না থাকে এবং জেনারাল ক্যাডারে তার জব না হয় , কিন্তু এ অবস্থায় তার টেকনিক্যাল ক্যাডারে জব পাওয়ার মত নাম্বার থাকলেও পরীক্ষার্থী চয়েস না দেয়ার কারনে সে টেকনিক্যাল ক্যাডারে চান্স পাবেনা , একইভাবে শুধু টেকনিক্যাল ক্যাডারে পরীক্ষা দিলে পরীক্ষার্থীর জেনারাল ক্যাডারে চান্স পাওয়ার মত নাম্বার থাকলেও সে টেকনিক্যাল ক্যাডারেই চান্স পাবে , আর both ক্যাডার চয়েস দিলে কেউ যদি জেনারাল ক্যাডারে চান্স না পায় সেক্ষেত্রে একটা সুযোগ থাকে টেকনিক্যাল ক্যাডারে চান্স পাওয়ার ।
তবে মূলকথা জেনারাল বা টেকনিক্যাল যে ক্যাডারেই হোক না কেন আপনার লিখিত পরীক্ষাতে অবশ্যই ভালো করার চেষ্টা করতে হবে । প্রিলি পরীক্ষা সবার জন্য এক । জেনারাল ক্যাডারের জন্য লিখিত পরীক্ষায় ৯০০ নাম্বার ( বাংলা – ২০০, ইংরেজি – ২০০, সাধারন জ্ঞান বাংলাদেশ – ২০০, সাধারন জ্ঞান আন্তর্জাতিক – ১০০, গনিত ও মানসিক দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তা – ৫০+৫০ = ১০০ , বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি – ১০০ ) ।
শুধু টেকনিক্যাল ক্যাডারে পরীক্ষা দিলে লিখিত পরীক্ষায় বাংলা দ্বিতীয় পত্র ও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরীক্ষার ২০০ নাম্বারের পরীক্ষার পরিবর্তে ২০০ নাম্বারের আপনার graduation এর বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে ( এজন্য প্রতিটি বিষয়ের সিলেবাস রয়েছে যেখানে আপনি আপনার বিষয়ের সিলেবাস পাবেন ) । আর both ক্যাডারে পরীক্ষা দিলে আপনাকে জেনারাল ক্যাডারের ৯০০ নাম্বারের লিখিত পরীক্ষার সাথে অতিরিক্ত আপনার graduation এর বিষয়ের ২০০ নাম্বারের লিখিত পরীক্ষা দিতে হবে ।
এবার আসি ভাইভাতে —- ভাইভা জেনারাল ক্যাডার এবং both ক্যাডারের জন্য মোটামুটি একই , কিন্তু যারা শুধু টেকনিক্যাল ক্যাডারে পরীক্ষা দেয় তাদের মূলত তাদের নিজস্ব graduation এর বিষয়ের ওপর প্রশ্ন করা হয়, এছাড়া টুকটাক বেসিক সাধারন জ্ঞানের বিষয়ে জিজ্ঞেস তো করা হয়েই থাকে
আপনি আপনার ইচ্ছেমত চয়েস দেবেন, যে টাইপ জব ভালো লাগে সেটা চয়েস দিন , জেনারাল, টেকনিক্যাল, বা both ক্যাডারে চয়েস দেয়াটা আপনার ব্যক্তিগত বিষয় ।
**** বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কথা —— শুধু বিসিএস পরীক্ষা দেয়া এবং অন্য পরীক্ষা না দেয়াটা ঠিক না । বিসিএস পরীক্ষার জন্য আপনি যদি ভালমতো প্রস্তুতি নিন তাহলে অন্যান্য সকল চাকুরীর পরীক্ষাতে কাজে আসে, তাহলে কেন অন্য পরীক্ষাগুলো দেবেন না ? বিসিএস এ সিট কয়টি থাকে সেদিকেও একটু খেয়াল রাখা দরকার তাইনা ? আগেতো আপনার পায়ের নিচে একটু ঠাই দরকার নাকি, মানে আপনার একটা চাকুরী দরকার right ( যদি আপনি চাকুরীকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চান ) ? সেটা ছোট বড় যে চাকুরীই হোকনা কেন । কারণ যেকোনো একটা চাকুরী পেলে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে যা আপনাকে পরবর্তী পরীক্ষাতে সাহায্য করবে । আপনি যেকোনো ভালো বেসরকারি চাকুরী হলে অবশ্যই সেখানেও আবেদন করুন । আগে আপনার নিজের জানাটা জরুরী ভালো ভালো কি কি চাকুরী আছে আমাদের দেশে, অনেকে কত চাকুরীতে আবেদনই করেনা শুধু না জানার কারনে ।
পোস্ট ১ টি বা ২ টি থাকলেও সেখানে পরীক্ষা দিন, সমস্যা নেই তো , সেখানে আপনারই মতই কেউ না কেউই তো জব পাচ্ছে , ভূত এসে তো সিট দখল করে নিচ্ছে না তাইনা ? আর চাইলে চাকুরী করেও অন্যান্য চাকুরীর পরীক্ষা দেয়া যায়, একটু বেশি শ্রম যাবে, সেটা মেনে নিতে হবে, ওই যে বলেছি কষ্ট আপনাকে করতেই হবে ভালো পজিশনে যেতে চাইলে । নিজেকে ছোট ভাববেন না, নিজের ওপর confidence বাড়ানোর চেষ্টা করুন , বেশি বেশি স্টাডিতে সময় দিন, দিনদিন নিজের জ্ঞানটাকে আরও সমৃদ্ধ করুন । একবার না হলে দুইবার তিনবার চারবারের বার তো ভালো কিছু একটা হবার চান্স থাকবে । আপনি থেমে গেলেন তো সবই থেমে গেল, চেষ্টা চালিয়ে গেলে সফল হবার সম্ভাবনাটা তো থাকে , তাইনা ?? হতাশ না হয়ে এগিয়ে যান । সফলতা আপনার কাছে এমনিই এসে হাজির হবে । ভালো থাকবেন সবাই ।
চাকরির ফ্রি সাজেশন পেতে এই লিঙ্কটি ভিজিট করুন
৩৪তম বিসিএস পরীক্ষায় পররাষ্ট্র ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন ওয়ালিদ বিন কাশেম ৩০তম... আরো পড়ুন
ছোটবেলা থেকে ক্যাডার সার্ভিসের প্রতি বাবার আগ্রহ ও উৎসাহের কথা শুনে... আরো পড়ুন
বিসিএস ভাইভা মার্ক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (#বিসিএস) হলো বাংলাদেশ সরকারের দাপ্তরিক... আরো পড়ুন
বিসিএসের কোন ক্যাডারকেই নিরঙ্কুশভাবে ভাল কিংবা মন্দ বলা যাবে না।... আরো পড়ুন
স্বাগতা ভট্টাচার্য্য; ৩৪তম বিসিএস উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশ ক্যাডারে আছেন। বাবা সব্যসাচী ভট্টাচার্য্য,... আরো পড়ুন
আমি নিজে যেভাবে প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, সেই একান্ত ব্যাক্তিগত নিয়ামকসমূহ আপনাদের সাথে... আরো পড়ুন