কীভাবে আপনি সহজে বিসিএস প্রিলিমিনারির জন্য প্রস্তুতি নিবেন?
যেভাবে বিসিএস প্রিলিমিনারির জন্য প্রস্তুতি নিবেন?
বিসিএস প্রিলি পাশ করার জন্য আপনাকে কৌশলী হতে হবে। এজন্য কোন সাব্জেক্ট থেকে কতটুকু পড়লে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ নম্বর আপনি পেতে পারবেন সেই ধারণা থাকা অত্যন্ত জরুরী। যারা ৪৪তম বিসিএসের মাধ্যমে আপনাদের বিসিএস যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছেন তাদের জন্য এই সাজেশন অত্যন্ত উপকারী হবে বলে আমি মনে করি।
বাংলা সাহিত্য (২০ নম্বর):
প্রাচীন ও মধ্যযুগ (৫): বাংলা সাহিত্যে প্রাচীন যুগে আছে শুধুমাত্র চর্যাপদ। এখান থেকে প্রশ্ন আসবেই। এছাড়াও মধ্যযুগে টপিক সংখ্যাও সীমিত। সব মিলিয়ে আপনি টেন মিনিট স্কুল কিংবা বাজারে প্রচলিত যেকোন বইয়ের প্রাচীন ও মধ্যযুগ যদি খুব ভালোমত পড়েন, সেখান থেকে ৫ নম্বর খুব সহজেই পেয়ে যেতে পারেন।
আধুনিক যুগ (১৫): বাংলা আধুনিক যুগের কলেবর বৃহৎ। বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বাংলা সাহিত্যের এই ভাগে বেশ ভোগান্তিতে পড়ে। আপনি বাংলা সাহিত্যের শিক্ষার্থী না হলে এখানে ৮০% এর অধিক নম্বর পাওয়ার চিন্তা না করাই ভালো (৮০% নম্বর পাওয়ার দরকারও নাই আসলে)। আপনারা নিম্নলিখিত সাহিত্যিকগণের সকল সাহিত্যকর্ম যদি ভালোভাবে পড়ে যান তাহলে এখান থেকে ৬/৭ নম্বর কমন পেতে পারেন।
১। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
২। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৩। কাজী নজরুল ইসলাম
৪। জসীম উদদীন
৫। মাইকেল মধুসূদন দত্ত
৬। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
৭। মীর মশাররফ হোসেন
৮। দীনবন্ধু মিত্র
৯। বেগম রোকেয়া সাখাওয়াৎ হোসেন
১০। কায়কোবাদ
১১। ফররুখ আহমদ
এছাড়াও বাংলা সাহিত্যে পঞ্চপাণ্ডব নামে খ্যাত নিম্নলিখিত সাহিত্যিকগণ সম্বন্ধেও আপনাকে পড়তে হবে।
১। জীবনানন্দ দাশ
২। বিষ্ণু দে
৩। অমিয় চক্রবর্তী
৪। সুধীন্দ্রনাথ দত্ত
৫। বুদ্ধদেব বসু
বাংলা সাহিত্যে বিভিন্ন পত্রিকা বাংলা সাহিত্যের বিকাশে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। এজন্যে প্রতিবছর বাংলা পত্রিকা ও তাদের সম্পাদক রিলেটেড ১/২টি প্রশ্ন এসে থাকে। এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনভিত্তিক বিভিন্ন সাহিত্যকর্ম থেকেও প্রশ্ন নিয়মিতই এসে থাকে। তাই আধুনিক যুগের প্রিপারেশন নেয়ার ক্ষেত্রে সবার আগে এই বিষয়গুলোতে ফোকাস করে আপনি যদি অন্যান্য ক্ষেত্রে আপনার প্রিপারেশন বিস্তৃত করতে পারেন তাহলে একটি স্মার্ট প্রিপারেশন আপনি খুব সহজেই নিয়ে নিতে পারবেন।
বাংলা ব্যাকরণ (১৫ নম্বর):
বাংলা ব্যাকরণে ভালো করার জন্য আপনি “৯ম-১০ম শ্রেণির মুনীর চৌধুরী ও মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীর বাংলা ব্যাকরণ” বইটি ফলো করতে পারেন। এছাড়াও বিগত বছরের প্রশ্ন এবং বিভিন্ন চাকুরীর পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো সল্ভ করতে পারেন। তবে সবার আগে আপনাকে যা করতে হবে তা হচ্ছে পিএসসি কর্তৃক প্রদত্ত বিসিএস প্রিলিমিনারি সিলেবাস অনুযায়ী টপিকগুলো শেষ করতে হবে।
টপিক: প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ, বানান ও বাক্য শুদ্ধি, পরিবাষা, সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ, ধ্বনি, বর্ণ, শব্দ, পদ, বাক্য, প্রত্যয়, সন্ধি ও সমাস।
ইংরেজি সাহিত্য (১৫ নম্বর):
ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে ইংরেজি সাহিত্যের শিক্ষার্থী ব্যতীত সবাই কম-বেশি ভোগান্তিতে পড়ে। আপনাকে প্রথমেই লেখকভিত্তিক প্রিপারেশন নেয়া উচিত কারণ প্রশ্নগুলো হয় লেখক কেন্দ্রিক। নিম্নলিখিত ২৫ জন সাহিত্যিকগণকে নিয়ে আপনি যদি ভালোমত পড়েন তাহলে আপনি ৬/৭ নম্বর কিংবা তারও বেশি নম্বর কমন পেয়ে যেতে পারেন।
* G. Chaucer
* C. Marlowe
* William Shakespeare
* William Wordsworth
* John Milton
* John Keats
* S. T. Coleridge
* W. S. Maugham
* Charles Dickens
* Robert Browning
* Ernest Hemingway
* Jonathan Swift
* P. B. Shelly
* Edmund Spencer
* O’ Henry
* Bertrand Russell
* Jane Austen
* H. G. Wells
* G. B. Shaw
* Alfred Tennyson
* William Blake
* W. B. Yeats
* T. S. Eliot
* E. M. Foster
* Sir Walter Scott
এছাড়াও ইংরেজি সাহিত্যের যুগভিত্তিক টাইমলাইন, লিটারেরি টার্মস থেকে প্রশ্ন এসে থাকে। অবশ্যই এগুলো পড়বেন। আর সবার আগে যে কাজটি করবেন, পূর্ববর্তী বছরে আসা সকল প্রশ্ন পড়ে ফেলবেন। এরপরে এই স্টেপগুলো ফলো করলে আপনি ১৫ তে ১০ কিংবা তারও বেশি নম্বর রাখতে পারবেন।
ইংরেজি গ্রামার (২০ নম্বর):
ইংরেজি গ্রামারে ভালো করা একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। সাধারণত ইংরেজিতে যাদের বেসিক ভালো তারা এখানে বেশ ভালো নম্বর রাখতে পারেন। যাদের ইংরেজিতে বেসিক দুর্বল এবং খুব দ্রুত বেসিক ভালো করার জন্য পর্যাপ্ত সময় হাতে নেই, তাঁরা নিচের দুইটি বই ফলো করতে পারেন।
English for Competitive Exam- M. Fazlul Haq (বিগত বিভিন্ন পরীক্ষার আসা ইংরেজি গ্রামার রিলেটেড সব প্রশ্ন রেগ্যুলার প্র্যাক্টিস করতে হবে)
Cliff’s Toefl (অল্প সময়ে ইংরেজি বেসিক ভালো করার জন্য কার্যকরী একটি বই)
এছাড়াও রোজ ইংরেজি দৈনিক পড়ার অভ্যাস করুন। অনেকে বিসিএস এবং অন্যান্য চাকুরির পরীক্ষায় ভোক্যাবুলারি নিয়ে অনেক সমস্যায় পড়ে থাকেন। SAT এর হাই ফ্রিকুয়েন্সি ৮০০ ওয়ার্ড যদি আপনি আয়ত্ত্বে নিতে পারেন তাহলে ভোক্যাবুলারির সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। কিন্তু এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। শর্টকাটে এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে আপনি বিগত বছরগুলোতে বিভিন্ন পরীক্ষায় আসা ভোক্যাবুলারিগুলো পড়ে যান। কিছু কমন পেলেও পেতে পারেন।
বাংলাদেশ বিষয়াবলি (৩০ নম্বর):
বাংলাদেশ বিষয়াবলি নিয়ে অনেক শিক্ষার্থী অনেক ঝামেলায় পড়ে থাকেন। এখানে আপনি যদি নিচের এই ৩টি টপিকের ওপর ভালো দখল রাখতে পারেন তাহলে ১৮-২০ নম্বর পর্যন্ত কমন পেতে পারেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ (এখান থেকে ৬ নম্বর কমন পেতে পারেন)
বাংলাদেশের সংবিধান (এখান থেকে সর্বোচ্চ ৯ নম্বর পর্যন্ত কমন পেতে পারেন)
চলতি বছরের অর্থনৈতিক সমীক্ষা (এখান থেকেও আপনি একটি ভালো অ্যামাউন্ট নম্বর কমন পাবেন)
এছাড়াও বাংলাদেশের অর্জন রিলেটেড সাম্প্রতিক তথ্যগুলো যদি আপনারা জানেন তাহলে বাংলাদেশ বিষয়াবলিতে ৬০-৮০% নম্বর আপনি অবশ্যই রাখতে পারবেন। গ্যারান্টেড।
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি (২০ নম্বর):
আন্তর্জাতিক বিষয়াবলিতে বিগত বিসিএস প্রিলিগুলোতে দেখা গিয়েছে সাম্প্রতিক ঘটনাবলি থেকে প্রশ্ন বেশি আসে। সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি, পরিবেশগত কূটনীতি রিলেটেড বিষয়াদি, আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনে বাংলাদেশের অবস্থান ইত্যাদি টপিকগুলোর উপরে ভালো ধারণা থাকলে ৬০% নম্বর এখান থেকে কমন পাবেন। সর্বোপরি ওয়ার্ল্ড ম্যাপের উপর বেইজ করে আপনি যদি আপনার প্রিপারেশন সাজান তাহলে এই সাব্জেক্টের প্রিপারেশনে আপনি স্বাভাবিকভাবেই অনেকের চেয়ে এগিয়ে থাকবেন।
গণিত (১৫ নম্বর):
গণিতে ভালো করার একটিমাত্র উপায়-প্র্যাকটিস, প্র্যাকটিস এবং প্র্যাকটিস। এর জন্য আসলে কোনো শর্টকাট সাজেশন নেই। আমরা যদি সিলেবাস ব্রেকডাউন করি তাহলে দেখতে পাই পাটিগণিত থেকে ৩ নম্বর, বীজগণিত থেকে ৬ নম্বর, পরিমিতি থেকে ৩ নম্বর, সেট-সম্ভাব্যতা, বিন্যাস ও সমাবেশ থেকে ৩ নম্বর আসে। এক্ষেত্রে আমার সাজেশন থাকবে আপনি আপনার স্ট্রেংথ ও উইকনেস ডিটারমাইন করে যেখানে ফোকাস দেয়া জরুরি সেখানে ফোকাস করুন।
মানসিক দক্ষতা (১৫ নম্বর):
এখানে ভালো নম্বর পাওয়ার একমাত্র উপায় আগের বছরে আসা সকল প্রশ্নগুলো সল্ভ করুন। তাহলেই আপনি ১২/১৩ নম্বর রাখতে পারবেন এখান থেকে।
বিজ্ঞান (১৫ নম্বর):
বিজ্ঞানের পুরো সিলেবাসকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়-
ভৌত বিজ্ঞান (ফিজিক্স ও কেমিস্ট্রির টপিক এই ভাগের অন্তর্ভুক্ত)
জীববিজ্ঞান
আধুনিক বিজ্ঞান
এই ভাগেও প্রশ্ন অনেক রিপিট হয়। বিগত বছরের প্রশ্নগুলি সল্ভ করুন। টেন মিনিট স্কুলের ডাইজেস্ট অথবা বাজারে প্রচলিত যেকোন বই ফলো করুন। খুব সহজেই এই টপিকে ১০-১৩ নম্বর পেতে পারবেন।
কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি (১৫ নম্বর):
এই ভাগের প্রশ্নগুলো বিগত বছরগুলোতে দেখা গিয়েছে একটু কঠিন হয়। যারা ইন্টারমিডিয়েটে আইসিটি পড়েছেন তারা এখানে অ্যাডভান্টেজ পান। এক্ষেত্রে প্রকৌশলী মুজিবুর রহমানের ১১-১২ শ্রেণির আইসিটি বইটি বিসিএস প্রিলিমিনারির সিলেবাস ধরে পড়লে উপকৃত হতে পারেন। ক্লাউড কম্পিউটিং, অপারেটিং সিস্টেম, ক্লায়েন্ট সার্ভার ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি টপিকের বেসিক আন্ডারস্ট্যান্ডিং-এ অনেকে সমস্যা ফেইস করেন। টেন মিনিট স্কুলের আইসিটি ক্লাসগুলো এই বেসিকগুলো ডেভেলপ করতে আপনাকে অনেকাংশে হেল্প করবে। নিম্নলিখিত কিছু টপিক থেকে প্রতি বছর কিছু না কিছু প্রশ্ন এসে থাকে। তাই আইসিটি প্রিপারেশনের ক্ষেত্রে এই টপিকগুলোর উপর গুরুত্ব প্রদান করবেন।
কম্পিউটারের অঙ্গ সংগঠন
অপারেটিং সিস্টেম
কম্পিউটার প্রোগ্রাম, ভাইরাস, ফায়ারওয়াল ইত্যাদি
ডেটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম
সেলুলার ডেটা নেটওয়ার্ক
মোবাইল ডেটা নেটওয়ার্ক
ক্লায়েন্ট সার্ভার ম্যানেজমেন্ট
ক্লাউড কম্পিউটিং
ভূগোল ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (১০ নম্বর):
ভূগোল পড়ার ক্ষেত্রে নিচের স্ট্র্যাটেজিটি ফলো করতে পারেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (২ নম্বর): অনেক ছোট একটি পার্ট। প্রশ্ন আসবেই। আর তথ্যও লিমিটেড। ১ দিন সময় দিলেই এটার ওপরে প্রিপারেশন হয়ে যাবে।
ভৌগলিক উপাদানসমূহ (যেমন: শিলা, খনিজ, জলপ্রপাত, প্রণালী ইত্যাদি) (২ নম্বর)
বাংলাদেশ ও অঞ্চল ভিত্তিক ভৌগোলিক অবস্থান, সীমানা, পারিবেশিক, আর্থ-সামাজিক ও ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব (২ নম্বর): এই টপিকটি পড়লে আপনার এক ঢিলে দুই পাখি মারা হবে। বাংলাদেশ বিষয়াবলি এবং ভূগোল দুইটি পার্টই এই টপিক কাভার করবে।
বাংলাদেশের পরিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদ (২ নম্বর)
বাংলাদেশ ও বৈশ্বিক জলবায়ু (২ নম্বর)
নৈতিকতা ও সুশাসন (১০ নম্বর):
অনেকের এই টপিক পুরোপুরি স্কিপ করেন এই ভেবে যে এইখানে অ্যান্সার করলে নেগেটিভ পাবার চান্স বেশি। এখানে ফুল মার্ক্স পাওয়া আসলেই কঠিন। তবে বিসিএস প্রিলিতে তো পাশ করার জন্য আপনার ফুল মার্ক্স রাখার দরকারও নাই। আপনি কিছু স্পেসিফিক টপিকের ওপর ফোকাস করলে এখান থেকে ৫/৬ নম্বর খুব সহজেই অল্প পরিশ্রমে পেতে পারেন। কীভাবে?
নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন সম্পর্কিত যত উক্তি দিয়েছেন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সেই উক্তিগুলো পড়ে ফেলুন।
সুশাসনের উপাদান একেকটি সংস্থা একেকরকম বলেছে। যেমন, জাতিসংঘের সুশাসনের উপাদান সংখ্যা একটি আবার বিশ্বব্যাংকের উপাদান সংখ্যা আরেকটি। এগুলো থেকে প্রতি বছর প্রশ্ন হয়। তাই এটি নিয়েও পরিষ্কার ধারণা নিয়ে যাবেন।
নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অনেক প্রকারভেদ আছে। এই প্রকারভেদ থেকে প্রশ্ন নিয়মিত আসে। এটি পড়ে ফেলবেন।
সর্বোপরি, বিগত বছরের সব প্রশ্ন ভালোমত পড়ে যাবেন।
আপনি যদি কৌশলী হয়ে উপরিউক্ত উপায়ে বিসিএস প্রিলির জন্য প্রিপারেশন নিতে পারেন, তাহলে ২/৩ মাসের পরিশ্রমেই আপনার বিসিএস প্রিলিমিনারি পাশ করা সম্ভব বলে আমরা বিশ্বাস করি। অবশ্যই সেক্ষেত্রে আপনাকে আপনার সময়ের সর্বোচ্চ ভাগ পড়াশুনায় বিনিয়োগ করতে হবে। সাফল্য পেতে গেলে কঠোর পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই।
কে. এম. রাফসান রাব্বি
সাবেক সহকারী পরিচালক,
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।