আজ বুধবার ৯ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ফাহিমা মাহজাবীন চৌধুরী পড়াশোনা করেছেন নর্থ’সাউথ ইউনিভার্সিটিতে। অগ্রণী স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ার সময় মাঝারি মানের ছাত্রী ছিলেন তিনি। SSC-HSC-তে জিপিএ-৫ পাননি তিনি। এনিয়ে পরি’বারের সদস্য;দের কাছে লজ্জার মুখে পড়তে হয়ে’ছিল তাকে। তবে GPA-5 যে সফল’তার চাবিকাঠি নয় এটা প্রমাণ করেছেন মাহজাবিন। ক্লাসে পেছনের সারিতে থাকা সেই মাহজাবিন এখন মাইক্রোসফটের মস্ত ইঞ্জিনিয়ার। ‘সারফেস ল্যাপটপ’ দলে ‘ডিজাইন ভ্যারিফিকেশন ইঞ্জিনিয়ার’ পদে আছেন মাহজাবিন। তিনি এখন পরিবারের গর্ব।
সাধারণত মাইক্রসফটের ১জন সফওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বছরে ৮০ লক্ষ থেকে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা পেয়ে থাকেন। সেই অনুযায়ী মাহজাবিন-ও বছরে ১ কোটি টাকার আশেপাশে বেতন পাবেন। জানা গেছে, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশলে অনার্স করেছেন ফাহিমা মাহজাবিন চৌধুরী। তবে তেমন একটা ভালো ছাত্রী ছিলেন না তিনি। যদিও ক্লাসে সব সময় সামনের দিকে বসতেন। আগ্রহ নিয়ে টিচারদের সঙ্গে কথা বলতেন। গবেষণায় ভালো ছিলেন বলে শিক্ষকরা তাকে পছন্দ করতেন। তবে পরীক্ষা ছাড়া সবকিছুই তার কাছে ভালো লাগতো
মাহজাবিনের অনার্সে থিসিসের বিষয় ছিল সোলার সেল (সৌর-কোষ)। তাই ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকো স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পর ক্যাম্পাসে সৌর;চালিত গাড়ি নিয়ে কাজ করার সুযোগটা লুফে নিয়েছিলেন। হাতে-কলমে কাজ শেখার, কাজ করার এমন আরও যত সুযোগ পেয়ে-ছেন, সবই কাজে লাগাতে চেষ্টা করে;ছেন তিনি। ২০১৮ সালে মাস্টার্স শেষ করে মাহজাবিন চাকরি খোঁজা শুরু করলেন। অনেক’গুলো জায়গায় আবেদন করার পরও বেশির ভাগ জায়গা থেকেই সাড়া পাননি। কারণ, তার অভিজ্ঞতা ছিলনা। আবার তিনি তখনও স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকায় ছিলেন। স্টুডেন্ট ভিসায় চাকরি করতে হলে কোম্পানির স্পনসরশিপ নিতে হয়। যুক্তরাষ্ট্রে যেহেতু এখন নানা রকম কড়াকড়ি আছে, বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান স্পনসর হতে চায় না। যুক্তরাষ্ট্রের একটি মেডিকেল সরঞ্জাম তৈরির প্রতিষ্ঠানে যোগ দেন মাহজাবিন।
ছয় মাস সেখানে কাজ করার পর আসে মাইক্রোসফটে কাজ করার প্রস্তাব। শুরুতে মাহ্জাবীন খুব একটা উৎসাহ দেখাননি। কারণ, ক্যালিফোর্নিয়া ছেড়ে সিয়াটলে যাওয়ার ইচ্ছা তার ছিল না। তার ওপর অফিসেও তখন বেশ কাজের চাপ। তবু ইন্টার;ভিউ দিলেন। মাইক্রোসফটের একজন ম্যানেজার আমার ইন্টারভিউ নিলেন। পরে তাকে দ্বিতীয়বার ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হলো। মাইক্রোসফট থেকে জানানো হলো, চার ঘন্টার ইন্টারভিউ হবে। আবার ইন্টারভিউ হলো। কদিন পর মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ মাহ্জাবীনকে জানাল, তাকে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সিলেক্ট করা হয়েছে।
এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ না পেয়েও মাহজাবিন প্রমাণ করলেন সফলতার জন্য জিপিএ-৫ মাপকাঠি হতে পারে না। তিনি এখন বাংলাদেশের গর্ব।
CV Personal Information Name PROFESSOR MUHAMMAD YUNUS Present Address Chairman, Yunus... আরো পড়ুন
ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের শিক্ষার্থী রহিমা সুলতানা। তিন ভাই ছয় বোনের... আরো পড়ুন
সুলতানা ইশরাত জাহান একজন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার। বাবা কাইজার আলম,... আরো পড়ুন
১। প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠুন। ফলে আপনি অন্যদের চেয়ে বেশি... আরো পড়ুন
আমার জন্ম জামালপুর জেলার এক অজপাড়াগাঁয়ে। ১৪ কিলোমিটার দূরের শহরে যেতে... আরো পড়ুন
রওশনা জাহান লিজা: আমি মো. আবুল কাশেম ও মোছা. ছালেহা বেগমের দ্বিতীয়... আরো পড়ুন